বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম ও জয়দেবপুর-ময়মনসিংহ মহাসড়ক উদ্বোধনের বিষয়ে এক সভা শেষে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের রাস্তার অবস্থার জন্য তাকেই ‘দোষারোপ’ করা হচ্ছে, যদিও রাজধানীর রাস্তার দায়িত্ব তার মন্ত্রণালয়ের ‘হাতে নেই’।
“আমি সবাইকে জানাতে চাই, আমি বড় বিপদে আছি। আমি বিরক্তও হচ্ছি। প্রতিনিয়ত ফেইসবুক ও টুইটারে জানতে চাইছে... একটু আগেও জবাব দিয়েছি।”
মন্ত্রী বলছেন, হানিফ ফ্লাইওভারের নিচের রাস্তা তাকে বারবার ‘বিপদে’ পড়তে হচ্ছে। মালিবাগ-মৌচাক নির্মাণাধীন ফ্লাইওভারের নিচের রাস্তার জন্য ‘বিব্রত’ হতে হচ্ছে। ফ্লাইওভার ‘সাইট’ নিয়ে প্রশ্নের মুখে পড়তে হচ্ছে।
“ঢাকা শহরের যেখানে যেখানে রাস্তা নিয়ে সঙ্কট বলে মনে হচ্ছে, বা চলাচলে অসুবিধা ফিল করছে সেখান থেকেই আমাকে ফোন করছে। ফেইসবুকে পোস্ট করছে, টুইটারে পোস্ট করছে। আমি ভাই বড় বিপদে আছি।”
তবে এসব রাস্তার এই পরিস্থিতির জন্য দায় নিতে রাজি নন সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী।
“আমি সাংবাদিকদের মাধ্যমে সবাইকে জানাতে চাই, সিটির রাস্তা, সিটি করপোরেশনের এখানে আই হ্যাভ নো রেসপনসিবিলিটি।
“সেখানে কাজ করার জন্য কী হয়েছে না হয়েছে এ নিয়ে আমি কোনো মন্তব্য করব না। এটার জবাব দেবে সিটি করপোরেশন,” বলেন ওবায়দুল কাদের।
ঢাকা-চট্টগ্রাম ও জয়দেবপুর-ময়মনসিংহ জাতীয় মহাসড়ক চালু হলে দেশের সড়ক যোগাযোগ নেটওয়ার্ক আরও শক্তিশালী হবে বলে আশা প্রকাশ করেন মন্ত্রী।
তিনি বলেন, “প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামী ২ জুলাই এ দুটি জাতীয় মহাসড়ক উদ্বোধন করবেন। এটি এবার প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে ঈদ উপহার।”
ঈদে ঘরমুখো মানুষের যাত্রা আগের থেকে স্বস্তিদায়ক হবে- এমন আশার কথা শুনিয়ে কাদের বলেন, “এবার রাস্তা গত কয়েক বছরের চেয়ে অনেক ভাল। ইঞ্জিনিয়ারিং প্রবেলম নেই। রাস্তার কারণে যানজটের আশঙ্কা কমে যাবে।”