আফতাবনগর-বনশ্রী: জলাধারের তালিকা করতে ৬ সদস্যের কমিটি

ইস্টার্ন হাউজিংয়ের আফতাব নগর-বনশ্রী প্রকল্প এলাকায় কতগুলো জলাধার বা জলাভূমি রয়েছে তা নিরূপণ করতে দেশের সর্বোচ্চ আদালতের নির্দেশে ছয় সদস্যের একটি কমিটি করেছে পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়।

সুপ্রিম কোর্ট প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 29 June 2016, 12:07 PM
Updated : 29 June 2016, 12:16 PM

মানবাধিকার ও পরিবেশবাদী সংগঠন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের এক আবেদনে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ গত মে মাসে কমিটি করার এই আদেশ দিয়েছিল।

আপিল বিভাগে আবেদনকারীপক্ষের আইনজীবী মনজিল মোরসেদ জানান, কমিটি গঠনের বিষয়ে মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব এস এম মুনীর উদ্দিন স্বাক্ষরিত ২৬ জুনের একটি চিঠি বুধবার  তিনি হাতে পেয়েছেন।

কমিটির সদস্যরা হলেন- বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবান অ্যান্ড রিজিওনাল বিভাগের অধ্যাপক ড. সারোয়ার জাহান, পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. নুরুল করিম, রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের পরিচালক (পরিকল্পনা) মো. সিরাজুল ইসলাম, বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতির (বেলা) প্রধান নির্বাহী সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান, তেজগাঁওয়ের সেটেলমেন্ট ক্যাম্প বদর আমিনের সার্ভেয়ার মো. আবুল হোসেন ও পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলনের সমন্বয়ক আতিক মোরশেদ।

ইস্টার্ন হাউজিংয়ের আফতাবনগর-বনশ্রী প্রকল্প এলাকায় জলাধার ও জলাশয় সংরক্ষণের জন্য নির্দেশনা চেয়ে মানবাধিকার ও পরিবেশবাদী সংগঠন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশ গতবছর হাই কোর্টে একটি রিট আবেদন করলে আদালত প্রাথমিক শুনানি নিয়ে রুল দেয়।

ওই প্রকল্প এলাকায় জলাধার সংরক্ষণের নির্দেশ কেন দেওয়া হবে না এবং সংরক্ষণে নিষ্ক্রিয়তা কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না জানতে চাওয়া হয় রুলে।

পাশাপাশি সেখানে থাকা জলাধার ও জলাশয়ের একটি তালিকাও আদালতে জমা দিতে বলা হয় সেই আদেশে।

এর ধারাবাহিকতায় পরিবেশ অধিদপ্তর, জেলা প্রশসন ও রাজউক জানায়, সেখানে কোনো জলাধার নেই। 

তবে এ তথ্য সঠিক নয় বলে সম্পূরক এক আবেদন নিয়ে হাই কোর্টে যায় রিট আবেদনকারী পক্ষ। ওই প্রকল্প এলাকায় কতগুলো জলাধার বা জলাভূমি রয়েছে তা নিরূপণ করতে একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠনের কথা বলা হয় সেই আবেদনে।

শুনানি করে চলতি বছরের ১০ মে হাই কোর্ট ওই সম্পূরক আবেদন খারিজ করে দিলে আবেদনকারী পক্ষ আপিলের অনুমতি চায়।

এই প্রেক্ষাপটে হাই কোর্টের দেওয়া আদেশ বাতিল করে ২৬ মে লিভ টু আপিল নিষ্পত্তি করে দেয় আপিল বিভাগ। ওই প্রকল্প এলাকায় কতগুলো জলাধার বা জলাভূমি আছে- তা নির্ণয় করে ৪৫ দিনের মধ্যে আদালতে প্রতিবেদন দিতে বলা হয় পরিবেশ সচিবকে।

সে সময় আদালতে আবেদনকারী পক্ষে শুনানি করেন মনজিল মোরসেদ। আর ইস্টার্ন হাউজিংয়ের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার রফিক-উল হক।

মনজিল মোরসেদ বুধবার বলেন, “হাই কোর্ট সম্পূরক আবেদন খারিজ করলেও মূল রিট আবেদনের প্রেক্ষিতে হওয়া রুল এখনও বিচারাধীন। আপিল বিভাগের নির্দেশনা অনুসারে এখন বিশেষজ্ঞ কমিটি হাই কোর্টে তাদের প্রতিবেদন দেবে। তাদের প্রতিবেদন আসার পর এ বিষয়ে হাই কোর্টে শুনানি হবে।”