বুধবার দুপুরে মিরপুর একনম্বর গোল চত্বর থেকে শাহ আলী মাজার পর্যন্ত এলাকাজুড়ে বিক্ষিপ্তভাবে সংঘর্ষের কারণে ওই এলাকায় যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
পুলিশ জানিয়েছে, তাদের হস্তক্ষেপে কিছুক্ষণ পরই যানচলাচল শুরু হয়।
অবশ্য দুপুরের চাপ সন্ধ্যায় ইফতারের আগেও দেখা গেছে বলে জানিয়েছেন কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শী।
এদিকে দুপুরে পুলিশের অভিযানের সময় আশপাশের দোকানপাট বন্ধ হয়ে যায়। ঈদের কেনাকাটায় ব্যস্ত অনেকেই নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নেন।
শাহ আলী থানার ওসি আনোয়ার হোসেন জানান, হকারদের ছোড়া ঢিলে কয়েকজন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন।
উচ্ছেদ শুরু হলে হকাররা পুলিশকে লক্ষ্য করে ঢিল ছুড়তে থাকে। এ সময় পুলিশ ধাওয়া দিয়ে তাদের হটিয়ে দিলেও তারা সংঘবদ্ধ হয়ে ফের এগিয়ে আসে। এ সময় হকার ও পুলিশের মধ্যে কয়েক দফা পাল্টাপাল্টি ধাওয়া হয়। এতে ওই সড়কে সব ধরনের গাড়ি চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
অবশ্য পরে পুলিশ লাঠিপেটা করে হকারদের সরিয়ে দিলে পরিস্থিতি শান্ত হয়। তবে বিকালেও ওই এলাকায় উত্তেজনার খবর পাওয়া গেছে।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে ওসি আনোয়ার বলেন, ফুটপাতের অবৈধ দোকান উচ্ছেদ করতে গেলে হকার এবং চাঁদাবাজরা বাধা দিলে সংঘর্ষ বাঁধে।
ট্রাফিক পুলিশের সহকারী কমিশনার আবু তৈয়ব মো. আরিফ হোসেন জানান, মুক্তিযোদ্ধা মার্কেটসহ আশপাশের যত মার্কেট আছে, সবগুলোর সামনে শতশত হকার অবৈধভাবে বসে সাধারণ মানুষের চলাচলে বাধা সৃষ্টি করছিল।
“তাই সাধারণ মানুষের স্বাভাবিক চলাচলের সুবিধার্থে হকার উচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।”
উচ্ছেদের সময় হকাররা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে এবং নানাভাবে প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি করে বলে জানান তিনি।
পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেন, হকারদের ছোড়া ঢিলে কয়েকজন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন।
মিরপুর একনম্বর গোল চত্বর থেকে শাহ আলী মাজার পর্যন্ত এলাকাজুড়ে বিক্ষিপ্তভাবে সংঘর্ষের কারণে ওই এলাকায় বন্ধ হয়ে যাওয়া যান চলাচল কিছুক্ষণ পরই স্বাভাবিক হয় বলে তিনি জানান।
আবু তৈয়ব বলেন, “কিছু লোক চাঁদাবাজির জন্য হকার বসিয়ে জনদুর্ভোগ সৃষ্টি করবে তাতো হতে পারে না। বিষয়টি ডিসি (ক্রাইম) স্যারকে জানানো হয়েছে। স্যার ব্যবস্থা নেবেন।”
সাধারণ মানুষের চলাচলের সুবিধার্থে অভিযান নিয়মিত চলবে বলেও জানান তিনি।