বৃক্ষরোপণে জাতীয় পুরস্কার পাচ্ছেন দুই প্রতিমন্ত্রীর স্ত্রী

ব্যক্তিগত পর্যায়ে বৃক্ষরোপণের জন্য প্রধানমন্ত্রীর জাতীয় পুরস্কার পাচ্ছেন বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী এবং পাট প্রতিমন্ত্রীর স্ত্রী।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 29 June 2016, 10:38 AM
Updated : 29 June 2016, 10:39 AM

দশটি শ্রেণিতে ২৯ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে ২০১৫ সালের এই পুরস্কারের জন্য মনোনীত করেছে পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়।

ব্যক্তিগত পর্যায়ে বৃক্ষরোপণের জন্য প্রথম পুরস্কার পাচ্ছেন বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপুর স্ত্রী সীমা হামিদ।

এই শ্রেণিতে বস্ত্র ও পাট প্রতিমন্ত্রী মির্জা আজমের স্ত্রী আলেয়া আজম পাচ্ছেন দ্বিতীয় পুরস্কার পাচ্ছেন।

তৃতীয় পুরস্কার পাচ্ছেন যৌথভাবে চাঁপাইনবাবগঞ্জের নতুন হাজরাপুরের নাসিমা রহমান ও মতিউর রহমান।

পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সহকারী সচিব শেখ মুহম্মদ তৌহিদুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক আদেশে পুরস্কারের জন্য মনোনীতদের তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে।

বুধবার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তৌহিদুল জানান, পুরস্কার বিতরণের দিন এখনও নির্ধারণ হয়নি। প্রধানমন্ত্রীর কাছে সারসংক্ষেপ পাঠানো হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী সময় দিলে পুরস্কার বিতরণের তারিখ নির্ধারণ করা হবে।

আদেশে বলা হয়েছে, প্রতিটি শ্রেণিতে পুরস্কারপ্রাপ্তদের সনদ ও ক্রেস্টের সঙ্গে নগদ অর্থ দেওয়া হবে। প্রথম পুরস্কারপ্রাপ্তরা ৩০ হাজার টাকা, দ্বিতীয় পুরস্কারপ্রাপ্তরা ২০ হাজার এবং তৃতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত প্রত্যেকে ১৫ হাজার টাকা করে পাবেন।

প্রাথমিক বিদ্যালয়, উচ্চবিদ্যালয়, এবতেদায়ী মাদ্রাসা, সিনিয়র মাদ্রাসা শ্রেণিতে প্রথম পুরস্কার পাবে চট্টগ্রামের রাউজান সুরেশ বিদ্যায়তন।

এই শ্রেণিতে দ্বিতীয় হয়েছে যশোরের ঝিকরগাছার গাজীর দরগা কুয়েত ইসলামিক ইয়াতিম কমপ্লেক্স। আর ঢাকার কেরানীগঞ্জের শুভাড্যা উচ্চ বিদ্যালয় পাবে তৃতীয় পুরস্কার।

কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় শ্রেণিতে নওগাঁর ধামইরহাট এম এম ডিগ্রি কলেজ প্রথম, চট্টগ্রামের আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় দ্বিতীয় এবং দিনাজপুরের কে বি এম কলেজ তৃতীয় পুরস্কার পাচ্ছে।

ইউনিয়ন, উপজেলা পরিষদ, পৌরসভা ও সিটি করপোরেশন শ্রেণিতে প্রথম পুরস্কার পাচ্ছে চুয়াডাঙ্গার দামুরহুদা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়।

এই শ্রেণিতে খুলনার তেরখাদা উপজেলা পরিষদ দ্বিতীয় এবং খুলনার দাকোপের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মৃণাল কান্তি দে তৃতীয় পুরস্কার পাবেন।

অধিদপ্তর, পরিদপ্তর, করপোরেশন, প্রতিষ্ঠান বনায়ন শ্রেণিতে প্রথম পুরস্কারের জন্য মনোনীত হয়েছে খুলনার খান জাহান আলী সেতুর (রূপসা সেতু) টোল প্লাজা।

এই শ্রেণিতে যথাক্রমে দ্বিতীয় ও তৃতীয় পুরস্কার পাবে বাগেরহাটের মংলা ইপিজেড ও মুন্সীগঞ্জের পশ্চিম মুক্তারপুরের শাহ সিমেন্ট ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড।

এনজিও, ক্লাব ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন শ্রেণিতে নীলফামারীর জলঢাকার তিস্তা বহুমুখী সমাজ কল্যাণ সংস্থা প্রথম, পটুয়াখালীর দোয়েল সামাজিক সংস্থা দ্বিতীয় এবং চট্টগ্রামের হাটহাজারীর খন্দকিয়া বাথুয়া ভূলিয়াপাড়া সম্মিলিত পানি ব্যবস্থাপনা দল তৃতীয় পুরস্কার পাবে।

ব্যক্তি মালিকানাধীন নার্সারি শ্রেণিতে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় পুরস্কার পাচ্ছেন যথাক্রমে খুলনা ফুলতলার মেসার্স হাইব্রিড নার্সারি, রংপুর সদরের বুড়িরহাট রোডের চব্বিশহাজারীর কৃষিবিদ নার্সারি এবং খুলনার পাইকগাছার গদাইপুরের আদর্শ নার্সারি।

ছাদে বাগান সৃজন শ্রেণিতে রাজশাহী রাজপাড়ার মহিষবাথানের শামীম আরা প্রথম পুরস্কার পাবেন।

ছাদে বাগান করে চট্টগ্রামের পতেঙ্গার মানিক চন্দ্র দাশ ও সারথী রানী দাশ যৌথভাবে দ্বিতীয় এবং গাজীপুর কালিয়াকৈরের সফিপুর পশ্চিম পাড়ার রাজিয়া সুলতানা তৃতীয় পুরস্কার পাবেন।

বন অধিদপ্তর কর্তৃক সৃজিত বাগানের ক্যাটাগরিতে রাজশাহীর পাইকবান্দা রেঞ্জের ধামইরহাট বিটের সামাজিক বন বিভাগ প্রথম, খুলনার বাগেরহাটের ডুমুরিয়া সামাজিক বনায়ন বাগান কেন্দ্রের সামাজিক বন বিভাগ দ্বিতীয় এবং নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী নার্সারিকেন্দ্রের উপকূলীয় বন বিভাগ তৃতীয় পুরস্কারের জন্য মনোনীত হয়েছে।

বৃক্ষগবেষণা, সংরক্ষণ, উদ্ভাবন শ্রেণিতে প্রথম পুরস্কার পাবেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মো. আবুল বাসার। এই শ্রেণিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আরবরিকালচার সেন্টারের পরিচালক মিহির লাল সাহা পাবেন দ্বিতীয় পুরস্কার।