বুধবার আপিল বিভাগের অবকাশকালীন চেম্বার বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী হাই কোর্টের দেওয়া আদেশের বিরুদ্ধে শফিক রেহমানের করা লিভ টু আপিল (আপিলের অনুমতি চেয়ে আবেদন) সেদিন আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে শুনানির জন্য পাঠিয়েছেন বলে জানিয়েছেন তার এক আইনজীবী।
গত ৭ জুন বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি মো. আতাউর রহমান খানের হাই কোর্টের বেঞ্চ শফিক রেহমানের জামিন আবেদন খারিজ করে আদেশ দেয়।
ওই আদেশের বিরুদ্ধে ১৬ জুন লিভ টু আপিল করেন শফিক রেহমান, যা বুধবার চেম্বার বিচারপতির আদালতে শুনানির জন্য ওঠে।
শফিক রেহমানের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলী ও আইনজীবী মো. আসাদুজ্জামান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।
আসাদুজ্জামান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, চেম্বার বিচারপতি লিভ টু আপিল ১৪ জুলাই আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে শুনানির জন্য দিন নির্ধারণ করেছেন। লিভ টু আপিলে শফিক রেহমানের জামিন চাওয়া হয়েছে।
জয়কে যুক্তরাষ্ট্রে ‘অপহরণের লক্ষ্যে’ তার সম্পর্কে তথ্য পেতে এফবিআইয়ের এক এজেন্টকে ঘুষ দেওয়ায় দেশটির আদালতে গত বছর প্রবাসী এক বিএনপি নেতার ছেলের কারাদণ্ডের রায়কে কেন্দ্র করে ঢাকায় করা এক মামলায় গত ১৬ এপ্রিল শফিক রেহমানকে গ্রেপ্তার করা হয়।
মামলায় নিম্ন আদালতে জামিন না মঞ্জুর হলে যায়যায়দিন পত্রিকার সাবেক এই সম্পাদক হাই কোর্টে আবেদন করেন, যার ওপর শুনানি শেষে ৭ জুন হাই কোর্ট আবেদন খারিজ করে দেয়।
রাজধানীর ইস্কাটনের বাসা থেকে গ্রেপ্তারের পর মামলায় দুই দফায় রিমান্ডে নেওয়া হয় বিএনপি ঘনিষ্ঠ এই সম্পাদককে। ওই বাসায় তল্লাশি চালিয়ে জয় সংক্রান্ত কিছু তথ্য ও গোপনীয় নথিপত্র পাওয়া গেছে বলে গোয়েন্দা পুলিশের দাবি।
শফিক রেহমানের স্ত্রী তালেয়া রেহমান দাবি করেছেন, ‘অনুসন্ধানী সাংবাদিক’ হিসেবে নিবন্ধ লেখার জন্যই তার স্বামী ওই তথ্য সংগ্রহ করেছিলেন।