ফায়ার সার্ভিস নিয়ন্ত্রণ কক্ষের দায়িত্বরত কর্মকর্তা মাহমুদুল হক জানান, মঙ্গলবার রাত ৩টার দিকে ১৪তলা ওই ভবনে আগুন লাগার পর তাদের ২৬টি ইউনিট কাজ শুরু করে।
ঘণ্টা তিনেক পর আগুন অনেকটা নিয়্ন্ত্রণে আনা গেলেও ভবনের ফ্লোরগুলোর পোড়া ধ্বংসস্তূপ থেকে কিছু সময় পর পর নতুন করে ধোঁয়া দেখা যাচ্ছিল বুধবার সাড়ে ৮টার দিকেও।
১৪তলা ভবনটির দ্বিতীয় থেকে চতুর্থ তলা পর্যন্ত আসবাবপত্রের দোকান। পাঁচ ইউনিটের ভবনের পঞ্চম থেকে ১৪তলা পর্যন্ত আবাসিক অংশের ফ্ল্যাটগুলোতে কয়েকশ মানুষের বসবাস।
ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা বলছেন, ভবনের বাণিজ্যিক অংশের আসবাবপত্রের দোকানের দাহ্য সামগ্রীর কারণে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে তাদের বেগ পেতে হয়।
প্রগতি সরণির লাগোয়া পাঁচ ইউনিটের বড় ওই কমপ্লেক্সে চার পাশ থেকে আগুন নেভানোর জন্য যথেষ্ট জায়গা না থাকায় এবং পানির উৎসের অভাবের কারণে পরিস্থিতি আরও জটিল আকার ধারণ করে বলে একজন ফায়ার সার্ভিস কর্মী জানান।
স্থানীয়দের বরাত দিয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত পুলিশ সদস্যরা জানান, সেহেরির সময় দ্বিতীয় তলায় একটি আসবাবের শোরুম থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়।
প্রাথমিক খবরে ফায়ার সার্ভিসের আটটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে স্থানীয়দের সহযোগিতায় কাজ শুরু করে। পরে আগুনের তীব্রতা বাড়তে থাকলে আরও ১৮টি ইউনিট তাদের সঙ্গে যোগ দেয়।
ধোঁয়া উপরের দিকে উঠতে শুরু করলে এবং আশপাশের মানুষের হাঁকডাকে ভবনের আবাসিক অংশ থেকে অনেকেই পরিবার নিয়ে নিচে নেমে আসেন। সে সময় পাশের একটি মসজিদ থেকে মাইকিং করেও ওই ভবনের বাসিন্দাদের বেরিয়ে আসতে বলা হয়।
স্থানীয় বাসিন্দাদের অনেকেই রাতে এবং সকালে অগ্নিকাণ্ডের ছবি ও ভিডিও ফেইসবুকে শেয়ার করেছেন।
বিটিআই প্রিমিয়ার প্লাজা নামের ফেইসুবক পৃষ্ঠায় রায়হান চৌধুরী নামের একজনের দেওয়া ভিডিওতে ভবনের একটি অংশের জানালার ভেতরে দাউ দাউ করে জ্বলতে দেখা যায়। বাইরে ছিল উৎসুক জনতার ভিড়।
আগুন নেভাতে দেরি হওয়ায় ক্ষোভ ও উদ্বেগও প্রকাশ করেছেন কেউ কেউ।
আগুনের কারণ ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ তাৎক্ষণিকভাবে জানাতে পারেননি ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা।
তবে বিভিন্ন অংশের দেয়ালে ফাটল দেখা যাওয়ায় ভবনটির কাঠামোও আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে থাকতে পারে বলে তারা ধারণা করছেন।
নিয়ন্ত্রণ কক্ষের কর্মকর্তা মাহমুদুল হক জানান, বিষয়গুলো অনুসন্ধানের জন্য পাঁচ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে ফায়ার সার্ভিস।