ফিটনেসবিহীন লঞ্চ চলতে দেব না: নৌমন্ত্রী

শুধু ঈদের সময়ই নয়, অন্য সময়েও ফিটনেসবিহীন কোনো লঞ্চ চলতে দেওয়া হবে না বলে জানিয়েছেন নৌমন্ত্রী শাজাহান খান।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 28 June 2016, 11:34 AM
Updated : 28 June 2016, 11:34 AM

সচিবালয়ে মঙ্গলবার মন্ত্রণালয়ের অধীন সংস্থাগুলোর সঙ্গে বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নে মন্ত্রী এ তথ্য জানান।

ঈদের আগে রং করে ফিটনেসবিহীন লঞ্চ নামানোর বিরুদ্ধে কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে কিনা জানতে চাইলে শাজাহান খান বলেন,  “আপনি শরীরে যদি সাবান-টাবান না দেন বা ভাল করে গোসল না করেন তবে ময়লা জমবে। এছাড়া ঈদ বা কোনো না কোনো সময় তো বাড়ি রং করান। একটু ভাঙচুর হলে মেরামত করান। গাড়ী বা লঞ্চেও রং করানো, ইঞ্জিনের কাজ করানো… নিয়মের মধ্যেই এটা করতে হয়।

“নিশ্চিত থাকতে পারেন আমরা ফিটনেস ছাড়া কোনো লঞ্চ চলতে দেব না, এটা আমাদের পরিষ্কার সিদ্ধান্ত।”

তিনি বলেন, “আগে নৌপরিবহন সেক্টরে কোনো শৃঙ্খলা ছিল না। এর আগে কেন এত নৌ দুর্ঘটনা হয়েছে? কারণ যেসব নৌযান নির্মাণ করা হয়েছে সেগুলো তাদের মত করে নির্মাণ করেছে। তারপর ডিজি শিপিং অনুমোদন দিয়েছে।”

নৌযান নির্মাণের আগে নকশা পাস করানোর নতুন নিয়মের কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে শাজাহান বলেন, এর ফলে অনেক জাহাজ আটকে গেছে। তারা নির্মাণ কাজ শেষ করেছে কিন্তু আমরা তাদের এখনও অনুমোদন দেইনি।

এবার ঈদে ফিটনেসবিহীন লঞ্চ যাতে না চলতে পারে এ ব্যাপারে সরকার সতর্ক আছে জানিয়ে শাজাহান খান বলেন, ওভারলোডিং (অতিরিক্ত যাত্রী বহন) ঠেকাতে ম্যাজিস্ট্রেট ছাড়াও পুলিশ ও মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা থাকবেন।

ঈদে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশন (বিআইডব্লিউটিসি) ও বেসরকারি মালিকানাধীন লঞ্চের বিশেষ সার্ভিস ১ জুলাই থেকে শুরু হবে বলেও জানান নৌমন্ত্রী।

চট্টগ্রাম ও মংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ, বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশন, বিআইডব্লিউটিএ, বিআইডব্লিটিসি, নৌপরিবহন অধিদপ্তর, স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ, মেরিন একাডেমি, মেরিটাইম ইনস্টিটিউট এবং পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষের সঙ্গে মন্ত্রণালয়ের বার্ষিক কর্ম সম্পাদন চুক্তি হয়।

চুক্তিতে সংস্থা প্রধান ও মন্ত্রণালয়ের পক্ষে সচিব আশোক মাধব রায় স্বাক্ষর করেন।

এই চুক্তির মাধ্যমে আগামী এক বছরের জন্য সংস্থাগুলোকে লক্ষ্য নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে। বছর শেষে লক্ষ্য অনুযায়ী সংস্থার কাজের মূল্যায়ন করা হবে।