ছাত্রলীগ নেতা রনির জামিনের মেয়াদ বাড়ল

ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ভোটকেন্দ্র থেকে গ্রেপ্তার চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নুরুল আজিম রনির অস্ত্র আইনের মামলায় জামিনের মেয়াদ তিন মাস বাড়িয়েছে হাই কোর্ট।

সুপ্রিম কোর্ট প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 28 June 2016, 08:18 AM
Updated : 28 June 2016, 09:55 AM

জামিনের মেয়াদ বাড়াতে রনির করা আবেদন শুনে বিচারপতি কামরুল ইসলাম সিদ্দিকী ও বিচারপতি আমির হোসেনের বেঞ্চ মঙ্গলবার এই আদেশ দেয়।

এর ফলে রনির মুক্তিতে আইনগত কোনো বাধা নেই বলে জানিয়েছেন তার পক্ষে শুনানিতে অংশ নেওয়া আইনজীবী শ ম রেজাউল করিম।

পরে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, আগে হাই কোর্ট রনিকে পুলিশ রিপোর্ট অথবা ছয় মাস, যেটি আগে হয় সে সময় পর্যন্ত জামিন দিয়েছিল। এর ভেতর পুলিশ রিপোর্ট হয়ে গেছে।

“এ অবস্থায় জামিনের মেয়াদ বাড়ানোর জন্য নতুন করে দরখাস্ত দেওয়া হয়। আদালত তিন মাসের জন্য জামিনের মেয়াদ বর্ধিত করেছেন। ফলে তার মুক্তি পাওয়ার ক্ষেত্রে আইনগত কোনো বাধা নেই।

আদালতে শ ম রেজাউল করিমের সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী  মো. আবদুর রাজ্জাক। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম জহিরুল হক।

গত ৭ মে চট্টগ্রামের হাটহাজারী উপজেলার মির্জাপুর ইউনিয়নের চারিয়া বোর্ড স্কুলের ভোটকেন্দ্রের বাইরে থেকে সিলসহ রনিকে আটকের পর তাকে ভ্রাম্যমাণ আদালতে দুই বছর কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

ওই সময় তার কাছ থেকে একটি নাইন এমএম পিস্তল ও ১৫ রাউন্ড গুলি পাওয়ার কথা জানিয়ে অস্ত্র আইনেও তার বিরুদ্ধে একটি মামলা করে পুলিশ।

গত ২৫ মে ভোটে প্রভাব বিস্তারের মামলায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের দেওয়া দণ্ডের বিরুদ্ধে রনির আপিল মঞ্জুর করে জামিনের আদেশ দিলেও অস্ত্র আইনের মামলায় তার জামিন নাকচ করে দিয়েছিল চট্টগ্রাম জেলা ও দায়রা জজ। 

পরে রনি উচ্চ আদালতে জামিনের আবেদন করলে গত ১৩ জুন হাই কোর্টের একটি দ্বৈত বেঞ্চ তাকে ছয় মাস অথবা পুলিশ প্রতিবেদন দাখিল করা পর্যন্ত অন্তবর্তীকালীন জামিন এবং জামিন প্রশ্নে রুল দেয়।

এরপর ১৯ জুন অস্ত্র আইনের মামলায় অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ। ফলে মুক্তি পাননি রনি। এ অবস্থায় জামিনের মেয়াদ বাড়ানোর আবেদন করেন রনি, যা মঙ্গলবার শুনানির জন্য ওঠে।

আইনজীবী রেজাউল বলেন, “জামিন আবেদনে মূল কথা ছিল তিনি (রনি) ৭ মে গ্রেপ্তার হন। ওই দিন মোবাইল কোর্টের একটি মামলায় তাকে সাজা দিয়ে কারাগারে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। ৮ মে একটি মামলা করে বলা হল, যে একটি অস্ত্র পাওয়া গেছে, সেই মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হল।

“মোবাইল কোর্ট যে মামলায় রায় দিয়েছে সেই রায়ের ভেতর কোথাও লেখা নেই অস্ত্র পাওয়া গেছে। অস্ত্রই যদি থাকবে তাহলে ওইদিনই তো তাকে অস্ত্র মামলায় জেল খানায় পাঠানোর কথা। এজন্য আমরা বলেছি ওই মামলাটি সাবসিকোয়েন্ট মামলা, রাজনৈতিকভাবে হয়রানির জন্য অসৎ উদ্দেশ্য এটি করা হয়েছে।”