সোমবার ভোররাতে ফরিদাবাদ ও কামরাঙ্গীরচর এলাকা থেকে আটক নাঈম ওরফে সাইফুল ওরফে সাদ এবং সোহাইল আহম্মেদ ওরফে সোভেল নামের ওই দুই যুবককে দুপুরে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করেন গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) উপপরিদর্শক শফিফুল ইসলাম।
তাদের সন্ত্রাস বিরোধী আইনের একটি মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে ১০ দিন রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের আবেদন করেন তিনি।
এ সময় সাদের পক্ষে রিমান্ডের বিরোধিতা করে জামিনের আবেদন করা হয় বলে আদালত পুলিশের প্রসিকিউশন বিভাগের জ্যেষ্ঠ সহকারী কমিশনার মিরাশ উদ্দিন জানান।
শুনানি শেষে মহানগর হাকিম সারাফুজ্জামান আনসারী জামিন নাকচ করে পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, গত ১৩ জুন রাজধানীর কামরাঙ্গীরচর থেকে নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের সদস্য আরিফুল ইসলাস সোলাইমানী ওরফে আরাফাত এবং সৈয়দ মোহাম্মদ মোজাহিদুল ইসলাম সাফিরাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা ওই এলাকার ব্যাটারিঘাট আল-মক্কা জামে মসজিদের গলিতে বসে ‘রাজনীতিবীদ, ব্লগার, লেখক ও প্রকাশকদের হত্যার ষড়যন্ত্র’ করার কথা ‘স্বীকার’ করলে এই মামলা দায়ের করে।
পরে ১৪ জুন পাঁচ দিনের রিমান্ডে নেওয়া হলে তারা জিজ্ঞাসাবাদে অন্য সঙ্গীদের নাম বলে এবং সেই তথ্যের ভিত্তিতেই সোমবার পুরান ঢাকার ফরিদাবাদ ও কামরাঙ্গীরচর এলাকা থেকে সাদ ও সোহাইলকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে তাদের রিমান্ড আবেদনে বলা হয়।
মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের উপ-কমিশনার মাশরুকুর রহমান খালেদ সকালে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, গ্রেপ্তার দুজনই স্থানীয় মাদ্রাসার শিক্ষক এবং আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের সঙ্গে সম্পৃক্ত।
তারা সাম্প্রতিক কোনো হত্যাকাণ্ডে ‘সরাসরি’ জড়িত না থাকলেও শিক্ষকতার আড়ালে আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের কর্মী সংগ্রহের কাজ করতেন বলে মাশরুকুর খালেদের ভাষ্য।
২০১৫ সালের ২৬ মে আনসারুল্লাহ বাংলা টিমকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে সরকার। এর আগে ২০০৯ সালে হিযবুত তাহরির এবং ২০০৫ সালে জেএমবিসহ চারটি সংগঠন নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়।