না জানিয়ে ২০ ড্রেজার কেনার টেন্ডার, সংসদীয় কমিটির অসন্তোষ

না জানিয়ে বিআইডব্লিইউটিএ’র ২০টি ড্রেজার ক্রয়ের টেন্ডার দেওয়ায় অসন্তোষ প্রকাশ করেছে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 27 June 2016, 11:19 AM
Updated : 27 June 2016, 11:19 AM

সোমবার কমিটির বৈঠকে মন্ত্রণালয়কে অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিইউটিএ) ড্রেজার ক্রয়সহ অন্যান্য বিষয়ে নজর বাড়ানোর সুপারিশও করা হয় বলে সংসদ সচিবালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, “বৈঠকে বিআইডব্লিউটিএ’র ২০টি ড্রেজার ক্রয়ের বিষয়ে সংসদীয় স্থায়ী কমিটিকে না জানিয়ে টেন্ডার ওপেন করায় কমিটি অসন্তোষ প্রকাশ করে এবং মন্ত্রণালয়কে বিআইডব্লিউটিএ’র ড্রেজার ক্রয়সহ অন্যান্য বিষয়ে নজর বাড়ানোর জন্য সুপারিশ করে।”

বৈঠকের পর কমিটির সদস্য তালুকদার আব্দুল খালেক সাংবাদিকদের বলেন, “টেন্ডারে যাতে কোনো ধরনের অনিয়ম না হয় সেজন্য আমরা বৈঠক ডেকেছিলাম। কিন্তু তারা টেন্ডার করে ফেলেছে। টেন্ডার সংশোধন করে মন্ত্রণালয় সেটি পরীক্ষাও করেছে।

“এখন যাতে কোনো ধরনের প্রশ্ন না ওঠে, অনিয়ম না হয়- সেটা নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে। মন্ত্রণালয় টেন্ডার পেপার দেখছে, এরপর পারচেজ কমিটি দেখবে। আমরা এটা আটকাইনি, কারণ ড্রেজারগুলো দরকার।”

সংসদীয় কমিটির বৈঠকে অংশ নেওয়া এক কর্মকর্তা বলেন, ড্রেজার ক্রয়ে সেন্ট্রাল প্রকিউরমেন্ট টেকনিক্যাল ইউনিটের (সিপিটিইউ) মত নিয়ে আলোচনার সিদ্ধান্ত ছিল সংসদীয় কমিটির। মন্ত্রণালয় সিপিটিইউ’র মতামত নিলেও তা সংসদীয় কমিটির সঙ্গে আলোচনা না করে টেন্ডার ডাকে এবং সেটা খুলেও ফেলে। এজন্য কমিটি অসন্তোষ প্রকাশ করেছে।

সরকার গত বছর দুই হাজার ৪৮ কোটি টাকা মূল্যের ২০টি ড্রেজার ও প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি কেনার জন্য একটি প্রকল্প নেয়। নৌপথে নির্বিঘ্নে যোগাযোগ নিশ্চিত করতে বছরে ২৩২ দশমিক ৫০ লাখ কিউবিক মিটার নদী খননে বিআইডব্লিউটি’কে সক্ষম করতে প্রকল্পটি নেওয়া হয়।

বিআইডব্লিউটিএ’র বর্তমানে ২১টি ড্রেজার রয়েছে; বার্ষিক ড্রেজিং ক্ষমতা ১১০ লাখ কিউবিক মিটার। তবে নৌপথের নাব্যতা স্বাভাবিক রাখতে বছরে ৮৮২ দশমিক ৫৩ লাখ কিউবিক মিটার ড্রেজিং প্রয়োজন। 

কমিটির সভাপতি রফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে বৈঠকে সদস্য নৌমন্ত্রী শাজাহান খান, তালুকদার আব্দুল খালেক এবং মো. আনোয়ারুল আজীম (আনার) অংশ নেন।