মাদক মামলার ‘জট ছাড়াতে’ পৃথক আদালতের চেষ্টা

দেশে ৫০ হাজারের বেশি মাদক মামলা ‘ঝুলে’ রয়েছে জানিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেছেন, এ ধরনের মামলা নিষ্পত্তির জন্য আলাদা আদালত করার চেষ্টা চলছে।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 27 June 2016, 11:04 AM
Updated : 27 June 2016, 11:04 AM

মাদকদ্রব্যের অপব্যবহার ও অবৈধ পাচারবিরোধী আন্তর্জাতিক দিবস উপলক্ষে সোমবার মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা জানান। 

কামাল বলেন, “পৃথক আদালত করার এই প্রচেষ্টা যদি ‘সাকসেসফুল’ হয়, তাহলে মামলার জটতো কমবেই, আমরা তাৎক্ষণিকভাবে বিচারের ব্যবস্থা করতে পারব।”

তিনি জানান, ২০১৪ সালে আদালতের বিভিন্ন পর্যায়ে মাদক আইনের মোট ৫১ হাজার ৮২৭টি মামলা ছিল। ২০১৫ সালে তা বেড়ে হয় ৫৭ হাজার ৪২৭টি।

২০১৫ সালে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে ৭ হাজার ৪৮৭টি মামলায় ৭ হাজার ৮২৩ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেওয়া হয়েছে বলেও জানান মন্ত্রী।

প্রতিবছর ২৬ জুন মাদকদ্রব্যের অপব্যবহার ও অবৈধ পাচারবিরোধী আন্তর্জাতিক দিবস পালন করা হয়। এ দিবসকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশেও নানা ধরনের সচেতনাতামূলক কর্মসূচি হাতে নেওয়া হয়েছে।

মন্ত্রী বলেন, এবারের প্রতিপাদ্য বিষয় হলো- ‘আগে শুনুন: শিশু ও যুবাদের প্রতি মনোযোগ দেওয়াই তাদের নিরাপদ বেড়ে উঠার প্রথম প্রদক্ষেপ’।

গত দুই বছরের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের জনবল ৪৩৯ জন বাড়ানো হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, আগে দেশের ২৩ জেলার সাংগঠনিক কাঠামোতে প্রথম শ্রেণির কর্মকর্তার অফিস ছিল। এখন ৬৪ জেলাতেই তা হয়েছে।

মন্ত্রী বলেন, মাদকের ব্যবহার কমিয়ে আনতে সরকার ‘নানা পদক্ষেপ’ নিয়েছে। প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে সুসম্পর্ক রেখে মাদক পাচার রোধের চেষ্টাও অব্যাহত রয়েছে।

মাদক পাচারকারী ও অপরাধীদের বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিক এবং কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য প্রয়োজনে ঢাকাসহ বিভাগীয় শহর এবং সিটি করপোরেশনগুলোতে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের শক্তিশালী ‘স্ট্রাইকিং ফোর্স’ গঠন করার পরিকল্পনার কথাও সংবাদ সম্মেলনে তুলে ধরেন মন্ত্রী।

অন্যদের মধ্যে মাদকদ্রব্য অধিদপ্তরের মহা-পরিচালক খন্দকার রাকিবুর রহমানসহ জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তারা সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।