‘বন্দুকযুদ্ধে’ ফাহিমের মৃত্যু: ব্যাখ্যা চেয়ে উকিল নোটিস

মাদারীপুরে এক শিক্ষককে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে গ্রেপ্তারের পর পুলিশ রিমান্ডে থাকা অবস্থায় কলেজ ছাত্র গোলাম ফাইজুল্লাহ ফাহিম কীভাবে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হলেন- সে বিষয়ে পুলিশ প্রশাসনের লিখিত ব্যাখ্যা চেয়ে উকিল নোটিস পাঠিয়েছেন বিএনপিপন্থি এক আইনজীবী।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 27 June 2016, 10:49 AM
Updated : 27 June 2016, 01:52 PM

ফাহিম আদৌ ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হয়েছেন, না কি ‘প্রকৃত ঘটনা ও দোষীদের নাম আড়াল’ করতে তাকে ‘হত্যা করা হয়েছে’- সে প্রশ্ন তোলা হয়েছে এই নোটিসে। 

ওই ঘটনার ‘প্রকৃত কারণ উদঘাটনে’ নিরপেক্ষ বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটি কেন গঠন করা হবে না- তাও লিখিতভাবে জানাতে অনুরোধ করেছেন নোটিসদাতা এস এম জুলফিকার আলী জুনু।

স্বরাষ্ট্র সচিব, পুলিশের মহাপরিদর্শক, মাদারীপুরের পুলিশ সুপার ও সদর থানার ওসিকে সোমবার রেজিস্ট্রি ডাকে তার ওই নোটিস পাঠানো হয়।

১৫ দিনের মধ্যে নোটিসের লিখিত জবাব না পেলে ‘মানবাধিকার রক্ষার স্বার্থে’ হাই কোর্টে রিট আবেদন করা হবে বলে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী জুনু হুঁশিয়ার করেছেন।

গত ১৫ জুন মাদারীপুরে এক কলেজ শিক্ষককে কুপিয়ে হত্যাচেষ্টার সময় ঘটনাস্থল থেকে ফাহিমকে আটক করে পুলিশে দেয় জনতা। পরে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাকে ১০ দিনের রিমান্ডে পাঠায় আদালত।

রিমান্ডে নেওয়ার পরদিন সকালে মাদারীপুরের একটি চরে সন্ত্রাসীদের সঙ্গে পুলিশের ‘বন্দুকযুদ্ধে’ গুলিবিদ্ধ হয়ে ফাহিম নিহত হন বলে পুলিশের ভাষ্য।

ঢাকার উত্তরার কলেজ ছাত্র ফাহিম ‘ইসলামী ছাত্র শিবিরের কর্মী’ ছিলেন জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছিলেন, শিক্ষক হত্যাচেষ্টার সময় তার ধরা পড়ার মধ্য দিয়ে ‘গুপ্তহত্যায়’ কারা জড়িত তা স্পষ্ট হয়েছে।

অন্যদিকে গোলাম ফাইজুল্লাহ ফাহিমকে ‘হত্যা করা হয়েছে’ দাবি করে এর সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর ‘সম্পৃক্ততার’ অভিযোগ তুলেছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া।

পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে বিএনপিপন্থি আইনজীবী জুলফিকার আলী জুনু তার নোটিসে বলেন, “ফাহিম নিহত হওয়ার ঘটনায় নাটকীয়তা ও রহস্য রয়েছে। বন্দুকযুদ্ধে নিহতের ঘটনা মানবাধিকার লঙ্ঘন এবং দেশের প্রচলিত ফৌজদারি আইন, হেফাজত আইন ও উচ্চ আদালত কর্তৃক রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ সংক্রান্ত গাইড লাইন ও আদেশের পরিপন্থি।”