তবে আগামী অর্থবছরে অর্থ বরাদ্দের প্রস্তাব থাকায় অবস্থার পরিবর্তন হবে বলে আশা করেছেন মন্ত্রী।
সোমবার এক প্রশ্নের জবাবে এ তথ্য জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী।
ওয়ার্কার্স পার্টির ইয়াসিন আলীর প্রশ্নের জবাবে নাহিদ বলেন, “শিক্ষক-কর্মচারীর এমপিও থেকে কর্তনকৃত চার শতাংশ হারে চাঁদার উপর ভিত্তি করে অবসর সুবিধা দেওয়া হচ্ছে। চাঁদা কর্তন করা হচ্ছে ২০০৫ সাল থেকে কিন্তু অবসর সুবিধা দেওয়া হচ্ছে ১৯৮০ সাল থেকে।”
“বর্তমান মাসিক চাঁদা চার শতাংশ হারে মাসে আয় হয় ১৭ কোটি টাকা এবং অবসর সুবিধার জমাকৃত আবেদন নিষ্পত্তির জন্য প্রয়োজন মাসিক প্রায় ৩৬ কোটি টাকা। ফলে প্রতিমাসেই ঘাটতি পুঞ্জিভূত হচ্ছে।”
আগে শিক্ষকদের অবসর এবং কল্যাণ সুবিধার আবেদন নিষ্পত্তিতে নির্ধারিত নিয়ম-নীতি অনুসরণ করা হয়নি জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, “বর্তমানে এ বিষয়টি একটি শৃঙ্খলার মধ্যে আনা হয়েছে। বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর পুঞ্জিভূত এ সকল আবেদন নিষ্পত্তির ক্ষেত্রে আবেদন দাখিলের তারিখের ক্রমানুসারে পর্যায়ক্রমে নিষ্পত্তি করা হচ্ছে।”
মন্ত্রী জানান, অবসর সুবিধা বোর্ডে বর্তমানে অনিষ্পন্ন ৪২ হাজার ৩৮০টি আবেদন নিষ্পত্তি করার জন্য ঘাটতি বাবদ প্রায় এক হাজার ৯৬১ কোটি টাকা আট লাখ ৮৮ হাজার টাকা এবং কল্যাণ ট্রাস্টে অনিষ্পন্ন প্রায় ২৮ হাজার আবেদন নিষ্পত্তি করার জন্য বর্তমান ঘাটতি বাবদ প্রায় ৪৮৫ কোটি টাকা প্রয়োজন।
আগামী ২০১৬-১৭ অর্থ বছরে প্রস্তাবিত বাজেটে ‘বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান অবসর সুবিধা বোর্ড’ এর অনুকূলে ৫০০ কোটি টাকার এনডাউমেন্ট ফান্ড এবং ১০০ কোটি টাকা এককালীন অনুদান প্রস্তাব করা হয়েছে।
একই সঙ্গে প্রস্তাবিত বাজেটে ‘বেসরকারি শিক্ষক কর্মচারীদের কল্যাণ ট্রাস্ট’ এর অনুকূলে এককালীন ৫০ কোটি টাকা বরাদ্দেরও প্রস্তাব রাখা হয়েছে বলে জানান নাহিদ।