‘২০২১ সালের মধ্যে সবার হাতে মোবাইল’

স্বাধীনতার সূবর্ণ জয়ন্তীর বছর ২০২১ সালের মধ্যে সবার হাতে মোবাইল ফোন পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্য নিয়ে ১০ বছর মেয়াদী জাতীয় টেলিযোগাযোগ নীতিমালা অনুমোদন করেছে সরকার।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 27 June 2016, 10:18 AM
Updated : 27 June 2016, 11:17 AM

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে সোমবার জাতীয় সংসদ ভবনে মন্ত্রিসভার ১১৩তম বৈঠকে এ নীতিমালার খসড়ায় এই অনুমোদন দেওয়া হয়।

বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম সচিবালয়ে সাংবাদিকদের বলেন, এটি ১৯৯৮ সালের টেলিযোগাযোগ নীতিমালাকে প্রতিস্থাপন করবে।

“টেলিযোগাযোগ নীতিমালা ১৯৯৮, জাতীয় আইসিটি নীতিমালা ২০১৫, জাতীয় ব্রডব্যান্ড নীতিমালা ২০০৯ এবং আন্তর্জাতিক দূরপাল্লার টেলিযোগাযোগ সেবা নীতিমালা ২০১০ কে সমন্বিত করে এই নীতিমালা করা হয়েছে।”

শফিউল বলেন, “টেকসই উন্নয়ন ও লক্ষ্যমাত্রা অর্জন এবং নতুন বৈশ্বিক জ্ঞানভিত্তিক অর্থনীতি ও বাংলাদেশকে সম্পৃক্ত করার উদ্দেশ্য সামনে রেখে ১০ বছরের জন্য এই নীতিমালা প্রণয়ন করা হয়েছে।”

নতুন এই নীতিমালায় স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদী লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।

স্বল্পমেয়াদী লক্ষ্যমাত্রায় ২০১৮ সালের মধ্যে টেলিঘনত্ব (নাগরিকদের হাতে টেলিফোনের অনুপাত) ৮০ শতাংশ থেকে ৯০ শতাংশে উন্নীত করা হবে।

এছাড়া এই সময়ের মধ্যে ইন্টারনেটের বিস্তার ৩৪ থেকে ৪৫ শতাংশে, মোবাইল বা ফিক্সড ব্রডব্যান্ডের বিস্তার ৭ শতাংশ থেকে ২০ শতাংশে, সব জেলা-উপজেলা সদর এবং দুই হাজার ইউনিয়নে অপটিক্যাল ফাইবার সংযোগ বিস্তৃত করা, সব উপজেলা সদরে উচ্চ গতির তারহীন ব্রডব্যান্ড সেবা পৌঁছে দেওয়া এবং দেশে জিডিটাল সম্প্রচার চালুর লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।

আর ২০২১ সালের মধ্যে মধ্যমেয়াদী লক্ষ্যমাত্রায় ছয়টি ‘টার্গেট’ ঠিক করা হয়েছে বলে মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান।

“২০২১ সালের মধ্যে শতভাগ টেলিঘনত্ব অর্জন, অর্থাৎ সকল নাগরিকের হাতে টেলিফোন থাকবে। ইন্টারনেটের বিস্তার ৬৫ শতাংশে উন্নীতকরণ, ব্রডব্যান্ডের বিস্তার ৪০ শতাংশে উন্নীতকরণ, সকল ইউনিয়নকে অপটিক্যাল ফাইবারের মহাসড়কে সম্পৃক্তকরণ, সকল ইউনিয়ন পর্যায়ে উচ্চ গতির তারবিহীন ব্রডব্যান্ড সেবা বিস্তৃতকরণ এবং দেশে ২০ শতাংশ বাসস্থান-প্রতিষ্ঠানে উচ্চ গতির অপটিক্যাল ফাইবার নেটওয়ার্কিং নিশ্চিকরণের লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে।”

শফিউল বলেন, ২০২৫ সালের মধ্যে দীর্ঘমেয়াদী লক্ষ্যমাত্রায় ইন্টারনেটের বিস্তার ৯০ শতাংশে উন্নীত করা, জনসংখ্যার ৬০ শতাংশকে ব্রডব্যান্ড সেবা দেওয়ার মত পরিবেশ সৃষ্টি এবং ৫০ শতাংশ বাসস্থান-প্রতিষ্ঠানে উচ্চ গতির অপটিক্যাল ফাইবার নেটওয়ার্ক নিশ্চিত করার লক্ষ্য ঠিক করা হয়েছে।

টেলিযোগাযোগ সংক্রান্ত যত আইন আছে, তার সবগুলোকে সমন্বয় করে একটি আইন করা হবে বলেও মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান।