ঢাকায় সাড়ে ৬ হাজার ‘পরিত্যক্ত’ বাড়ি

বাংলাদেশে ১০ হাজার ৩৪৭টি ‘পরিত্যক্ত’ বাড়ি রয়েছে বলে জাতীয় সংসদে তথ্য দিয়েছেন গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রী মোশাররফ হোসেন; এর মধ্যে রাজধানী ঢাকাতেই রয়েছে ৬ হাজার ৪০৬টি বাড়ি।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 27 June 2016, 07:37 AM
Updated : 27 June 2016, 08:32 AM

শাঁখারীবাজারের ক্ষতিগ্রস্ত বাড়ি। ছবি- কামাল তালুকদার

জাতীয় সংসদের সোমবারের অধিবেশনে কুমিল্লা-৮ আসনের সাংসদ নুরুল ইসলাম মিলনের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী জানান, ঢাকার পরিত্যক্ত বাড়িগুলোর মধ্যে বিক্রির তালিকায় আছে চার হাজার ৭৮২টি। অবৈধ বসবাসকারীদের দখলে রয়েছে ৬৬টি বাড়ি; আর ৯৯৯টি বাড়ি নিয়ে মামলা চলছে।

এছাড়া নারায়ণগঞ্জে ৬২, গাজীপুরে ৩, নরসিংদীতে ২, রাজবাড়ীতে ৩৬, রাজশাহীতে ২২৮, নাটোরে ৭, চাঁপাইনবাবগঞ্জে ১৬, নওগাঁয় ৩০, পাবনায় ১২৩, সিরাজগঞ্জে ১৩, বগুড়ায় ২৮০, জয়পুরহাটে ১, খুলনায় ১ হাজার ৪২১, বাগেরহাটে ১, যশোরে ৯২, কুষ্টিয়ায় ৫০৭, চুয়াডাঙ্গায় ২৭, চট্টগ্রামে ৩৫৩, কুমিল্লায়­ ৩, কক্সবাজারে ১, সিলেটে ৪, রংপুরে ৪২, দিনাজপুরে ৩৭৮, নীলফামারীতে ২২৩, কুড়িগ্রামে ১৭, ঠাকুরগাঁওয়ে ৯, লালমনিরহাটে ১০৮ এবং গাইবান্ধায় ২১টি বাড়ি পরিত্যক্ত ঘোষিত হয়েছে।

মোশাররফ হোসেন জানান, এসব পরিত্যক্ত বাড়ি কেবল মুক্তিযুদ্ধে শহীদ ও যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়; অন্যদের বরাদ্দ দেওয়ার নিয়ম নেই।  

এম আবদুল লতিফের এক প্রশ্নে গণপূর্ত মন্ত্রী জানান, বর্তমানে দেশে ১২৮টি বাড়ি সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অবৈধ দখলে রয়েছে। এর মধ্যে এফ শ্রেণির একটি, সুপিরিয়র শ্রেণির দুটি, ই শ্রেণির ১২টি, সংরক্ষিত ৫৩টি, ডি শ্রেণির ৫৬টি এবং অস্থায়ী চারটি বাড়ি রয়েছে।

কর্মকর্তা-কর্মচারীরা আদালতের স্থগিতাদেশ নিয়ে এসব বাড়িতে বসবাস করছেন এবং সেসব মামলা দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য দু’জন বেসরকারি আইনজীবী নিয়োগ দিতে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে বলে সংসদকে জানান মন্ত্রী।

খুলনা-২ আসনের সাংসদ মুহাম্মদ মিজানুর রহমানের প্রশ্নে মন্ত্রী জানান, খুলনা শহরে ১৪টি ভবন চিহ্নিত করা হয়েছে, যেগুলো বেশ ঝুকিপূর্ণ। 

আ খ ম জাহাঙ্গীর হোসাইনের প্রশ্নের এক প্রশ্নে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রী মুস্তাফিজুর রহমান বলেন, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে ১৬ হাজার ৬০৩টি প্রধান শিক্ষকের পদ এবং ৪৪ হাজার ৯৫টি সহকারী শিক্ষকের পদ শূন্য রয়েছে। 

কামাল আহমেদ মজুমদারের এক প্রশ্নের জবাবে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেন, বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত করা একটি ‘চলমান প্রক্রিয়া’। এর অংশ হিসেবে ২০১০ সালে এক হাজার ৬২৪টি বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে এমপিওভূক্ত করা হয়েছে। 

“প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনার আলোকে বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে এমপিওভুক্ত করার নির্দেশিকা সংশোধনের কার্যক্রম চূড়ান্ত করা হয়েছে। পরে মন্ত্রণালয়ের জারি করা সংশোধিত বেসরকারি শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালা এবং ২০১৫ সালের জাতীয় বেতন স্কেলের আলোকে নির্দেশিকাটি আরও সংশোধনের প্রয়োজন হওয়ায় নয় সদস্যের একটি কমিটি করা হয়েছে। এই কমিটির সুপারিশ পাওয়ার পর নির্দেশিকাটি শিগগিরই চূড়ান্ত করা হবে।”

আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিমের প্রশ্নের জবাবে সমাজকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ জানান, ঢাকা বিমানবন্দর এলাকা, হোটেল রেডিসন, দূতাবাস ও কূটনৈতিক জোন, বেইলি রোড, রূপসী বাংলা হোটেল (বর্তমানে ইন্টারকন্টিনেন্টাল) এবং হোটেল সোনারগাঁও এলাকাকে ভিক্ষকমুক্ত ঘোষণা করা হয়েছে।