বৃহস্পতিবার রাজধানীর গাবতলীতে আইনশৃঙ্খলা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত এক মতবিনিময় সভায় তিনি বলেন, “কোনোভাবেই ট্রাফিক আইন ভঙ্গকারীদের ছাড় দেওয়া হবে না। যারাই ট্রাফিক আইন ভঙ্গ করবে তাদের বিরুদ্ধেই কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
“উল্টো পথে গাড়ি চালালে, গাড়িতে স্টিকার ও হুটার ব্যবহার করলে তাদের বিরুদ্ধে তৎক্ষণাৎ আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
সভার শুরুতে ট্রাফিক সচেতনতা সংক্রান্ত একটি প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন ডিএমপি কমিশনার।
এ সময় অন্যদের মধ্যে ডিএমপির যুগ্ম কমিশনার ট্রাফিক মোসলেহ্ উদ্দিন আহমদ, মফিজ উদ্দিন আহম্মেদ ও ইমতিয়াজ আহমেদ এবং মিরপুর বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মাসুদ আহাম্মদ উপস্থিত ছিলেন।
মহানগরীর ট্রাফিক ব্যবস্থাপনায় গাড়ির মালিক ও শ্রমিকদের সহযোগিতা চেয়ে ডিএমপি কমিশনার বলেন, “আপনাদের সকলের সহযোগিতা ও আন্তরিক প্রচেষ্টা থাকলে আমরা অবশ্যই ঢাকা মহানগরীকে একটি সু-শৃঙ্খল ট্রাফিক ব্যবস্থাপনার আওতায় আনতে পারবো।”
ঈদ সামনে রেখে ঢাকা মহানগর ট্রাফিক বিভাগ ‘ব্যাপক পরিকল্পনা ও পদক্ষেপ’ নিয়েছে জানিয়ে আছাদুজ্জামান মিয়া বলেন, ২৯ জুন থেকে মহানগরীতে প্রবেশের ও বের হওয়ার চারটি প্রধান পয়েন্টে পর্যাপ্ত পুলিশ ফোর্স মোতায়েন করা হবে এবং সাদা পোশাকের পুলিশকে সদা সতর্ক অবস্থায় রাখা হবে।
এসময় ঈদযাত্রায় কেউ যাতে হয়রানির শিকার না হয় এবং কালোবাজারিতে যাতে টিকেট বিক্রি না হয় সেদিকে সজাগ দৃষ্টি রাখতে বাস-ট্রাক মালিকসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে সজাগ থাকার আহ্বানও জানান ডিএমপি কমিশনার।
বাস-ট্রাক মালিক সমিতির সভাপতি মো. ফারুক তালুকদার সোহেলের সভাপতিত্বে সভায় শ্রমিক ও মালিকদের বিভিন্ন প্রতিনিধি বক্তব্য রাখেন।