পলিব্যাগ বন্ধ করা কষ্টসাধ্য, সংসদে পরিবেশমন্ত্রী

পরিবেশ ও বনমন্ত্রী আনোয়ার হোসেন মঞ্জু জাতীয় সংসদকে জানিয়েছেন, পলিথিন ব্যাগ সহজলভ্য ও কম দাম হওয়ায় নিষিদ্ধঘোষিত পণ্যটি বাজারে পুরোপুরি বন্ধ করা কষ্টসাধ্য হয়ে পড়েছে।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 22 June 2016, 09:17 AM
Updated : 22 June 2016, 09:19 AM

বুধবারের অধিবেশনে সরকারি দলের সংসদ মদস্য এম আবদুল লতিফের এক প্রশ্নে তিনি বলেন, “পলিথিন ব্যাগ সহজলভ্য ও কম দামি। বাজারে পলিথিন ব্যাগের বিকল্প তৈরি না হওয়ায় এটি পুরোপুরি বন্ধ করা কষ্টসাধ্য ব্যাপার হয়ে পড়েছে।”

আনোয়ার হোসেন মঞ্জু বলেন, সরকার মাশরুম চাষ ও প্যাকেজিং এবং নার্সারিতে চারা উৎপাদন ও বিপণনের জন্য বিভিন্ন পুরত্বের পলিথিন শপিং ব্যাগের ওপর ছাড় দেয়। এই সুযোগ নিয়ে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী গোপনে নিষিদ্ধঘোষিত পলিথিন ব্যাগ তৈরি করছে। তারপরও গত এক বছরে পরিবেশন অধিদপ্তর ২৪২ টন পলিথিন ব্যাগ জব্দ করেছে।

সরকারি দলের জেবুন্নেসা আফরোজের প্রশ্নে পরিবেশ ও বনমন্ত্রী বলেন, আসন্ন বর্ষা মৌসুমে নির্বিঘ্নে মাছ ধরার জন্য স্থানীয় জেলে ও দুষ্কৃতিকারীরা সুন্দরবনে আগুন লাগিয়েছে বলে তদন্তে পাওয়া গেছে। এ বিষয়ে দোষীদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী দুজনকে আটক করেছে। দায়িত্বে অবহেলার জন্য চারজন বনকর্মীকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।

সুকুমার রঞ্জন ঘোষের প্রশ্নে তিনি জানান, জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য দায়ী না হয়েও এর বিরূপ প্রভাবের শিকার বাংলাদেশ।

পরিবেশ ও বনমন্ত্রী বলেন, “আইপিসিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত ১০০ বছরে সমুদ্রপৃষ্ঠের গড় উচ্চতা ১৭ থেকে ২১ সেন্টিমিটার বেড়েছে। ২০৮০ ও ২১০০ সালের মধ্যে এর গড় উচ্চতা ২৬ থেকে ৯৮ সেন্টিমিটার বাড়তে পারে। সেক্ষেত্রে বাংলাদেশের উপকূলসহ পাঁচ ভাগের এক ভাগ অংশ সমুদ্রে তলিয়ে যেতে পারে।

“জার্মান ওয়াচ প্রকাশিত ‘বৈশ্বিক জলবায়ু ঝুঁকি সুচক ২০১৬’ অনুযায়ী ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ অবস্থান ৬। এ বিষয়ে বিশ্ব সম্প্রদায় কার্যকর ব্যবস্থা না নিলে ২০৫০ সাল নাগাদ বাংলাদেশের জিডিপির ২ শতাংশ এবং ২১০০ সাল নাগাদ ৯ দশমিক ৪ শতাংশ ক্ষতিগ্রস্থ হতে পারে।”