প্রস্তাবিত ২০১৬-১৭ অর্থবছরের বাজেটে সড়ক পরিবহন, সেতু ও রেলপথে উন্নয়ন ও অনুন্নয়ন ব্যয় মিলে ৩২ হাজার ১৪৮ কোটি টাকার বরাদ্দ প্রস্তাব করা হয়েছে।
এর মধ্যে রেল মন্ত্রণালয়ের জন্য সবচেয়ে বেশি ১১ হাজার ৯৫০ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করেছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।
এছাড়া সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগে ১০ হাজার ৯১০ কোটি টাকা এবং সেতু বিভাগে ৯ হাজার ২৮৮ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে।
২০১৫-১৬ সালে এই তিনখাতে সংশোধিত বরাদ্দ ছিল ২২ হাজার ৩৬২ কোটি টাকা।
সার্বিকভাবে পরিবহন ও যোগাযোগে (নৌ-পরিবহন, বেসামরিক বিমান ও পর্যটন এবং ডাক টেলিযোগাযোগ বিভাগসহ) বরাদ্দ প্রস্তাব করা হয়েছে ৩৭ হাজার ২৬৫ কোটি টাকা।
২০১৫-১৬ অর্থবছরে এ খাতে বরাদ্দ (সংশোধিত) ২৬ হাজার ৭৯৮ কোটি টাকা।
ভবিষ্যতের সমৃদ্ধ বাংলাদেশকে পরিকল্পনায় রেখে আসন্ন অর্থবছরে ৩ লাখ ৪০ হাজার ৬০৫ কোটি টাকা ব্যয়ের ফর্দ বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে উপস্থাপন করেন অর্থমন্ত্রী।
বাজেট বক্তৃতায় যোগাযোগ খাত সম্পর্কে তিনি বলেন, “সড়ক-সেতু অবকাঠামো উন্নয়নে দেশের পশ্চিমাঞ্চলে ৬০টি সেতু নির্মাণ ও পুনঃনির্মাণ, পায়রা নদীর উপর লেবুখালী সেতু এবং মধুমতি নদীর উপর কালনা সেতু নির্মাণ প্রকল্প বাস্তবায়ন শুরু হয়েছে। পদ্মা সেতু নির্মাণ কাজ যথেষ্ট অগ্রগতি হয়েছে।”
রেলখাতে বেশ অগ্রগতি হয়েছে জানিয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, চলতি অর্থবছরে এ পর্যন্ত মোট ১৬৫ কিলোমিটার নতুন রেলপথ নির্মাণ ও পুনর্বাসন করা হয়েছে। এ সময়ে ১২টি নতুন রেলসেতু এবং ৫৮টি রেলসেতু পুনঃনির্মাণ করা হয়েছে।
২০১৬-১৭ অর্থবছরে নতুন রেললাইন নির্মাণ, ডাবল লাইনে রূপান্তর, পুনর্বাসন, নতুন রেলসেতু নির্মাণসহ যাত্রীবাহী কোচ সংগ্রহ ও পুনর্বাসন পরিকল্পনা রয়েছে বলেও জানান মন্ত্রী মুহিত।