প্রতিটি শিশু হত্যার বিচার হবে: ডেপুটি স্পিকার

রাজন ও রাকিবের খুনিদের শাস্তির বিষয়টি তুলে ধরে জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বী মিয়া প্রতিটি শিশু হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের একে একে বিচারের আওতায় আনার উপর জোর দিয়েছেন।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 31 May 2016, 06:14 PM
Updated : 31 May 2016, 06:14 PM

মঙ্গলবার ঢাকায় শিশু অধিকার সংগঠন ‘চাইল্ড পার্লামেন্ট’ এর ত্রয়োদশ অধিবেশনের উদ্বোধনী পর্বে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।

সেইভ দ্য চিলড্রেন বাংলাদেশ, প্লান ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ, বাংলাদেশ শিশু একাডেমি যৌথভাবে শিশুদের বিশেষ এই সংসদের আয়োজক।

অধিবেশনে ‘শিশু হত্যা বন্ধ করো: শিশু সুরক্ষা নিশ্চিত করো’ শিরোনামে আলোচনা করেন চাইল্ড পার্লামেন্টের প্রতিনিধিরা।

তাদের বক্তব্যের ওপর আলোচনায় ডেপুটি স্পিকার বলেন, “শিশুরা নিজেদের অধিকার নিয়ে কথা বলছে, অন্যদের অধিকার নিয়ে কথা বলছে। এদের মধ্য থেকেই একদিন জাতীয় সংসদের স্পিকার, এমন কি দেশের প্রধানমন্ত্রী বেরিয়ে আসবে।”

গণমাধ্যমে শিশুদের ওপর নির্যাতনের বিষয়টি ব্যাপকভাবে প্রচার করলে তা শিশুমনে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে বলে সংবাদ প্রকাশ ও প্রচারের ক্ষেত্রে সংবেদনশীলতা প্রত্যাশা করেন তিনি।   

“শিশুদের মনে আঘাত পায় এমন ধরনের সংবাদের চেয়ে তাদের উজ্জীবিত করে এমন খবর প্রকাশ করাই সাংবাদিকতার ইথিকস বলে আমি মনে করি।”

ফজলে রাব্বী মিয়া দাবি করেন, ঢাকায় বিখ্যাত এক স্কুলের শিক্ষককে যৌন হয়রানির জন্য সাজা দিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করা হলেও সেই খবর গণমাধ্যমে বড় হয়ে আসেনি।

বাবা-মায়ের হাতে শিশু নির্যাতনের কয়েকটি ঘটনা প্রসঙ্গেও কথা বলেন ফজলে রাব্বী মিয়া।

“সম্প্রতি বাবা/মার হাতেও শিশুরা নির্যাতিত হচ্ছে, খুন হওয়ার ঘটনা ঘটছে। এটা সমাজের অবক্ষয়। বলতে খারাপ শোনালেও মূলত বাবা/মায়ের পরকীয়া প্রেম শিশু হত্যার অন্যতম কারণ। এই অসামাজিক ধারা থেকে আমাদের বেরিয়ে আসতে হবে।”

শিশু আইনের আলোকে শিশুদের সুরক্ষায় আরও নীতিমালা করা যেতে পারে এবং জাতীয় সংসদের শিশু বাজেটকে আরও বিশ্লেষণমূলক করা যেতে পার বলেও মত দেন ডেপুটি স্পিকার।

“২০১৩ সালে শিশু আইন করেছে সরকার। এই আইনের নিরিখে আরও নীতিমালা করা প্রয়োজন, যাতে করে প্রতিটি ক্ষেত্রে শিশুদের অধিকার সুরক্ষা হয়।”

গত বাজেটে শিশুদের জন্য পৃথক বাজেট ঘোষণা করেছেন অর্থমন্ত্রী। এবারের শিশু বাজেটে কোন খাতওয়ারি বরাদ্দ দেওয়ার জন্য অর্থমন্ত্রীকে অনুরোধ করবেন বলে জানান ডেপুটি স্পিকার।

সকাল ৯টা থেকে শুরু হয় শিশু সংসদের অধিবেশন। দুপুরে বিরতির পর বিকালে আবার শুরু হয় তাদের বিষয়ভিত্তিক আলোচনা। প্রতি জেলা থেকে একজন করে এবং ২০টি বিশেষ অঞ্চল থেকে একজন প্রতিনিধিসহ মোট ৮৬ জন শিশু আলোচনায় অংশ নেয়।

চাইল্ড পার্লামেন্টের স্পিকার হাসান মাহমুদ বলেন, “বাংলাদেশের শিশুদের কথা শিশুদের মুখেই আইন প্রণেতাদের কাছে তুলে ধরতেই তাদের এই পার্লামেন্ট। গত এক যুগেরও বেশি সময় ধরে জাতিসংঘ শিশু অধিকার সনদের আলোকে চাইল্ড পার্লামেন্ট কাজ করছে।”