এক সম্পূরক আবেদনের শুনানি নিয়ে বিচারপতি সালমা মাসুদ চৌধুরী ও বিচারপতি কাজী মো. ইজারুল হক আকন্দের বেঞ্চ মঙ্গলবার এ আদেশ দেয়।
আদালতে শুনানিতে মান্নার পক্ষে ছিলেন আইনজীবী ইদ্রিসুর রহমান ও শাহদীন মালিক; রাষ্ট্রপক্ষে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ড. মো. বশির উল্লাহ ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল ইয়াদিয়া জামান।
নিউ ইয়র্কে অবস্থানরত বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান সাদেক হোসেন খোকা এবং অন্য এক ব্যক্তির সঙ্গে মান্নার টেলিফোন আলাপের দুটি অডিও ক্লিপ প্রকাশের পর গত বছরের ২৫ ফেব্রুয়ারি তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
রাষ্ট্রদ্রোহ ও সেনা বিদ্রোহে উসকানির অভিযোগে গত বছরের ৫ মার্চ ও ২৪ ফেব্রুয়ারি গুলশান থানায় মান্নার বিরুদ্ধে মামলা দুটি হয়।
এই দুই মামলায় ২ ও ৭ মার্চ নিম্ন আদালতে মান্নার জামিন আবেদন নাকচ হয়। মান্না এরপর স্বাস্থ্যগত কারণ দেখিয়ে হাই কোর্টে জামিনের এই আবেদন করেন, যার ওপর ২১ মার্চ শুনানি হয়। সেদিন শুনানি নিয়ে আদালত জামিন প্রশ্নে রুল দেয়।
গুলশান থানার দুই মামলায় মাহমুদুর রহমান মান্না কেন জামিন পাবেন না তা জানতে চেয়ে তিন সপ্তাহের মধ্যে রাষ্ট্রপক্ষকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়।
এই রুলের শুনানির সময় ইব্রাহিম কার্ডিয়াক হাসপাতালে মান্নাকে চিকিৎসা সেবা দিতে নির্দেশনা চেয়ে একটি সম্পূরক আবেদন উপস্থাপন করার প্রেক্ষিতে আদালত ওই আদেশ দেয় বলে জানান ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ড. বশির উল্লাহ।
তিনি বলেন, “রুলের বিষয়টি কার্যতালিকা থেকে বাদ দিয়েছে আদালত।”
আর মান্নার আইনজীবী ইদ্রিসুর রহমান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “মান্না বর্তমানে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে আছে। এক সম্পূরক আবেদনের প্রেক্ষিতে হাই কোর্ট অবিলম্বে তাকে ইব্রাহিম কার্ডিয়াক হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা সেবা দিতে কারা কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছে।”