প্রথমে ৩০ এপ্রিল এ নিবন্ধন শেষ করার কথা থাকলেও পরে তা এক মাস বাড়ানো হয়। এবার আর সময় বাড়ানো হবে না বলে সরকারের পক্ষ থেকে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।
এখন পর্যন্ত বায়োমেট্রিক নিবন্ধনের অগ্রগতি এবং শেষ মুহূর্তের নিবন্ধনে পাঠকের জন্য প্রয়োজনীয় তথ্যগুলো এক নজরে-
# অনিবন্ধিত সিম বন্ধ হয়ে যাবে ৩১ মে ‘জিরো আওয়ার’ অর্থাৎ মঙ্গলবার রাত ১২টার পর।
# তার আগ পর্যন্ত এনআইডি, ছবি এবং মোবাইল সিম সঙ্গে নিয়ে বায়োমেট্রিক পয়েন্টে গিয়ে সিম নিবন্ধন করা যাবে।
# গ্রাহক চাইলে বন্ধ হওয়ার ৫৪০ দিনের মধ্যে সিমটি চালু করতে পারবেন। তবে সেজন্যও বায়োমেট্রিক ভেরিফিকেশনের প্রয়োজন হবে এবং টাকা দিয়ে নতুন করে কিনে নিতে হবে সিমটি।
# এর মধ্যে ৪৫০ দিন পার হওয়ার পর অপারেটর একটি বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে সংযোগটি পুনরায় বিক্রি করার ঘোষণা দেবে। তারপর বায়োমেট্রিক ভেরিফিকেশন করে সংযোগ নিবন্ধনের জন্য ৯০ দিন সময় পাবেন গ্রাহক।
# এই ৫৪০ দিনের মধ্যে সংযোগটি পুনরায় চালু করতে হলে নতুন সিম/রিম এর হারে দাম দিতে হবে।
# এই সময়ের মধ্যে সিমটি সচল না হলে অপারেটর তা অন্যদের কাছে বিক্রি করতে পারবে।
# অনিবন্ধিত সিমের পাশাপাশি যারা জাতীয় পরিচয়পত্রের পরিবর্তে অনুমোদিত অন্যান্য পরিচয়পত্র (পাসপোর্ট/ড্রাইভিং লাইসেন্স/জন্ম নিবন্ধন সনদ) ব্যবহার করে নিবন্ধন করেছেন তাদের সেই নিবন্ধনের মেয়াদ ছয় মাস। এরপর তাদেরও সিম চালু রাখতে চাইলে উপরের পদ্ধতি অনুসরণ করতে হবে।
# সিম পুনঃনিবন্ধনে আঙুলের ছাপ না মেলাসহ এনআইডি সংক্রান্ত যে কোনো সমস্যার জন্য জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগে (এনআইডি) ১৬১০৩ নম্বরে ফোন করে সেবা পাওয়া যাবে।
# বিটিআরসির তথ্য অনুযায়ী সোমবার নাগাদ বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে নিবন্ধিত হয়েছে ১০ কোটি ১৫ লাখের বেশি সিম।
# নির্ধারিত সময়ের পর অনিবন্ধিত মোবাইল ফোন সিম বন্ধে কারিগরি প্রক্রিয়ায় দুইদিনের বেশি সময় প্রয়োজন হতে পারে বলে জানিয়েছে মোবাইল ফোন অপারেটররা।
# অনিবন্ধিত সিমের সংযোগ বন্ধ না করার নির্দেশনা চেয়ে হাই কোর্টে আবেদন, যার শুনানি হতে পারে মঙ্গলবার।
# গত ১৬ ডিসেম্বর বায়োমেট্রিক পদ্ধতি চালু হওয়ায় এখন থেকে আর আঙুলের ছাপ না দিয়ে নতুন সিম কেনা যাবে না।