হাই কোর্টের রায়ের সূত্র ধরে সোমবার আবেদনটি করা হয় বলে জানান রিট আবেদনকারী পক্ষের কৌঁসুলি ব্যারিস্টার অনীক আর হক।
তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “হাই কোর্ট কয়েকটি নির্দেশনা দিয়ে রিট আবেদনটি নিষ্পত্তি করে রায় দেয়। এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করা হবে।
“এজন্য এখন যেসব অবনিবন্ধিত সিম রয়েছে, সেগুলোর সংযোগ যাতে বিচ্ছিন্ন না করা হয় সেজন্য নির্দেশনা চেয়ে আবেদনটি করা হয়।”
চেম্বার বিচারপতির আদালতে মঙ্গলবার এই আবেদনের উপর শুনানি হতে পারে বলে জানান এই আইনজীবী।
বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে সিম নিবন্ধনের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে করা একটি রিট আবেদনের চূড়ান্ত নিষ্পত্তি করে ১২ এপ্রিল হাই কোর্টের একটি দ্বৈত বেঞ্চ কয়েকটি নির্দেশনাসহ রায় দেয়।
বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিযন্ত্রণ কমিশনের বেঁধে দেওয়া নিয়ম ‘যথাযথভাবে’ অনুসরণ করার নির্দেশনা ও গ্রাহকের তথ্যের সুরক্ষার ওপর গুরুত্ব দেয় আদালত।
গত ১৬ ডিসেম্বর সিম নিবন্ধনে বায়োমেট্রিক পদ্ধতি চালু হওয়ায় আঙুলের ছাপ না দিয়ে এখন আর নতুন সিম কেনা যাচ্ছে না। পাশাপাশি বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে পুরনো সিমের পুনঃনিবন্ধন চলছে।
ওই পদ্ধতিতে সিম নিবন্ধন কার্যক্রমের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে এস এম এনামুল হক নামের এক আইনজীবী গত ৯ মার্চ হাই কোর্টে এই রিট আবেদন করেন।
১৪ মার্চ প্রাথমিক শুনানি নিয়ে ওই দিন আদালত রুল দেয়।
তৃতীয় পক্ষের মাধ্যমে নাগরিকদের আঙুলের ছাপ নিয়ে বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে মোবাইল ফোনের সিম নিবন্ধন কার্যক্রম কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চাওয়া হয় ওই রুলে।
রুলের চূড়ান্ত শুনানি নিয়ে ১২ এপ্রিল হাই কোর্ট রায় দেয়।