ব্যাচ ও জ্যেষ্ঠতার ভিত্তিতে নার্স নিয়োগের দাবিতে সড়ক অবরোধ

বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনের অধীনে পরীক্ষা বাতিল করে নার্সিং পেশার বিভিন্ন স্তরে ব্যাচ ও জ্যেষ্ঠতার ভিত্তিতে নিয়োগের দাবিতে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে সনদধারীর নার্সদের দুটি সংগঠন।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 30 May 2016, 12:31 PM
Updated : 3 June 2016, 07:06 AM

বাংলাদেশ ডিপ্লোমা বেকার নার্সেস অ্যাসোসিয়েশন (বিডিবিএনএ) ও বাংলাদেশ বেসিক গ্রাজুয়েট নার্সেস সোসাইটি (বিবিজিএনএস) সোমবার বিকাল ৫টা পর্যন্ত জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এই কর্মসূচি পালন করে।

বিবিজিএনএসের সাধারণ সম্পাদক নাহিদা আক্তার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “৩ জুনের নিয়োগ পরীক্ষা বাতিল ও ব্যাচভিত্তিক নিয়োগের দাবিতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতের উদ্দেশ্যে সচিবালয়ের দিকে মিছিল নিয়ে গেলে পুলিশ আমাদের বাধা দেয়। আমরা প্রেস ক্লাবের সামনের রাস্তা অবরোধ করেছি।”

দুটি সংগঠনের কয়েকশ কর্মী জড়ো হয়ে দুপুর ১টার দিকে ব্যস্ত এই সড়কে অবরোধ দিলে রাজধানীর প্রাণকেন্দ্রের তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়।

শাহবাগ থানার ওসি আবু বকর সিদ্দিক বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “ওরা দুপুর ১টা থেকে রাস্তা বন্ধ করে দেওয়ায় আমরা ডাইভারশন করে দিয়েছি। ফলে প্রেস ক্লাবের পূর্ব পাশের রাস্তা দিয়ে ব্যাপক দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।”

এর আগে বেলা সোয়া ১১টার দিকে নার্স নিয়োগে চলমান সঙ্কট নিরসনে প্রধানমন্ত্রীর সাক্ষাৎ চেয়ে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করে নার্সরা। মিছিলটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি হয়ে দোয়েল চত্বর ঘুরে সচিবালয়ের দিকে যায়। পুলিশ প্রেস ক্লাবের সামনে আটকে দিলে সড়কে বসে পড়েন নার্সরা।

কর্মসূচিতে অংশ নেওয়া নার্স রহিমা বেগম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “ব্যাচভিত্তিক নিয়োগ দাবিতে আমাদের এই আন্দোলন। ২০১১ সালে নার্সের পদমর্যাদা দ্বিতীয় শ্রেণি করার পরও ২০১৩ সালে ৪ হাজার ১০০ নার্স ব্যাচভিত্তিক নিয়োগ দেয় সরকার। কিন্তু এখন সরকার পিএসসির মাধ্যমে এই নিয়োগ দিতে চাচ্ছে।

“যে নার্সের বয়স চলে গেছে সেতো পিএসসি পরীক্ষা দিতে পারবে না। সুতরাং ব্যাচভিত্তিক নিয়োগ না দেওয়া পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন চলবে।”

এর আগে ১ মে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর আশ্বাসের নার্সদের অনশন প্রত্যাহারের কথা তুলে ধরে রহিমা বলেন, “ফলে আমরা আশায় ছিলাম, সরকার ব্যাচভিত্তিক নিয়োগ দেবে। কিন্তু ৩ জুন তারিখে সরকার পিএসসির মাধ্যমে পরীক্ষা নিতে যাচ্ছে।

“তাহলে সরকার আমাদের দাবি নিয়ে তামাশা করছে।”