রুল বিচারাধীন থাকা অবস্থায় শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে (২০১৬-১৭ শিক্ষবর্ষ) বর্ধিত টার্ম চার্জ, সেশন ও টিউশন ফিসহ অন্যান্য ফি আদায় করা থেকে বিরত থাকতে অধ্যক্ষের প্রতি র্অন্তবর্তীকালীন নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
বিচারপতি সৈয়দ মোহাম্মদ দস্তগীর হোসেন ও বিচারপতি এ কে এম সাহিদুল হকের বেঞ্চ এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে এ আদেশ দেয়।
শিক্ষা সচিব, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা সচিব, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটির অধ্যক্ষ ও ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যানকে চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
বর্ধিত ফি ধার্য্যের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ৩৩ জন অভিভাবক গত ২৫ মে এই রিট করেন।
আবেদনকারীদের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার অনীক আর হক। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল অরবিন্দ কুমার রায়।
ব্যারিস্টার অনীক বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, এই আদেশের ফলে চলতি শিক্ষাবর্ষের জন্য (জুন-জুলাইয়ে শুরু হওয়া) শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে বর্ধিত টিউশন ফি, সেশন ফিসহ অন্যান্য ফি আদায় করা যাবে না।
রিট আবেদনের যুক্তির বিষয়ে তিনি বলেন, “গত ২১ বছর ধরে পরিচালনা পর্ষদ ছাড়াই প্রতিষ্ঠানটি চলছে। পরিচালনা পর্ষদ ভর্তি ও টিউশন ফি নির্ধারণ করে থাকে। অথচ ট্রাস্ট্রি বোর্ডের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানের মালিক স্বেচ্ছাচারিভাবে ভর্তি ফি, বুক ফি ও সেশন ফি নির্ধারণ ও আদায় করেছে, যা বেসরকারি (ইংরেজি মাধ্যম) বিদ্যালয় নিবন্ধন নীতিমালা-২০০৭ এর ৭, ৯, ১৭ ও ২০ ধারার পরিপন্থী।
“আমরা দেখিয়েছি ২০১২ সালে একজন শিক্ষার্থীকে স্কুলে ভর্তি হতে এক লাখ ২৭ হাজার ৭৮০ টাকা দিতে হত। চার বছরের ব্যবধানে চলতি শিক্ষাবর্ষে (২০১৬-২০১৭) তা নির্ধারণ করা হয়েছে এক লাখ ৯২ হাজার ৮ টাকা। ট্রাস্টি বোর্ড এটি নির্ধারণ করতে করতে পারে না। এ সব যুক্তিতে রিট আবেদনটি করা হলে আদালত ওই আদেশ দেয়।”