বিশ্ব তামাকমুক্ত দিবস উপলক্ষে রোববার ‘তামাক নিয়ন্ত্রণ সাংবাদিকতা পু্রস্কার ২০১৬’ অনুষ্ঠানে তিনি একথা বলেন।
মন্ত্রী জানিয়েছেন, ২০৪০ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে তামাকমুক্ত করার প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা বাস্তবায়নে মন্ত্রণালয়গুলোর সঙ্গে সম্বলিতভাবে কাজ হচ্ছে।
তামাক বিরোধী সংগঠন প্রগতির জন্য জ্ঞান ‘প্রজ্ঞা’ এবং অ্যান্টি টোব্যাকো মিডিয়া এলায়েন্স (আত্মা)’ এর যৌথ উদ্যোগে সিরডাপ মিলনায়তনে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি জাতীয় অধ্যাপক আব্দুল মালিক।
অনুষ্ঠানে জুরি বোর্ডের প্রধান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যএ আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন ক্যাম্পেইন ফর টোব্যাকো ফ্রি কিডস এর কনসালটেন্ট মো. শরিফুল আলম, প্রজ্ঞার নির্বাহী পরিচালক এবিএম জুবায়ের এবং আত্মার আহ্বায়ক মর্তুজা হায়দার লিটন।
তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন অনুযায়ী, ১৯ মার্চ থেকে তামাক পণ্যের মোড়কের উপরের অংশে শতকরা ৫০ ভাগ জায়গা জুড়ে সচিত্র স্বাস্থ্য সতর্কবাণী বাস্তবায়ন বাধ্যতামূলক।
তামাকবিরোধী সংগঠনগুলো বলছে, এটা তামাক কোম্পানির অন্যতম কূটকৌশল। আইন অনুযায়ী প্রতি তিন মাস পরপর মোড়কের ছবি পরিবর্তন করতে হবে। প্রথম ধাপের সেই তিন মাস শেষ হবে ১৯ জুন।
এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে মোহাম্মদ নাসিম বলেন, তিনি বিষয়টি দেখবেন।
মন্ত্রী বলেন, “তামাক নির্মূল আন্দোলনে শুধু স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় কাজ করলে হবে না। এর সাথে আইন, স্বরাষ্ট্র, অর্থসহ অনেক মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্টতা রয়েছে।”
আব্দুল মালিক বলেন, “তামাক একটি ক্ষতিকর পণ্য এটা এখন স্বীকৃত। আমাদের এবং পরবর্তী প্রজন্মকে সুস্থ রাখতে হলে এই পণ্য ত্যাগ করার বিকল্প নেই।”
উপাচার্য আরেফিন সিদ্দিক বিজয়ীদের অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, তাদের লেখনির মাধ্যমে সাধারণ মানুষ সচেতন হচ্ছে, পাশাপাশি অনুপ্রাণিত হচ্ছে অন্যরা।
আত্মার যুগ্ম আহ্বায়ক ও এটিএন বাংলার প্রধান প্রতিবেদক নাদিরা কিরণের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে সভাপত্বিত করেন দৈনিক সমকালের উপসম্পাদক মোজাম্মেল হোসেন।
এছাড়া এবছর বিশ্ব তামাকমুক্ত দিবসের প্রতিপাদ্য ‘প্লেইন প্যাকেজিং’ বিষয়ে নিয়ে দিক নির্দেশনা তুলে ধরেন প্রজ্ঞার সমন্বয়ক হাসান শাহরিয়ার।
প্লেইন প্যাকেজিং পদ্ধতি বাস্তবায়ন হলে সকল তামাকপণ্যের প্যাকেট বা কৌটার রং, আকার একই হবে।
সেরা প্রিন্ট- অনলাইন মিডিয়া বাংলা বিভাগের ক্যাটাগরিতে দৈনিক জনকন্ঠ (বর্তমানে দৈনিক যুগান্তরে কর্মরত) স্টাফ রিপোর্টার হামিদ-উজ-জামান মামুন এবং দৈনিক নয়াদিগন্ত এর জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক জিয়াউল হক মিজান।
সেরা প্রিন্ট- অনলাইন মিডিয়া ইংরেজি বিভাগে দি ডেইলি ফিনান্সিয়াল এক্সপ্রেস এর বিশেষ প্রতিনিধি দৌলত আক্তার মালা এবং দি ডেইলি স্টার এর লালমনিরহাট জেলা প্রতিনিধি এস দিলীপ রায়।
সেরা টিভি রিপোর্টে বৈশাখী টেলিভিশনের জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক রিতা নাহার এবং দেশ টেলিভিশনের জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক ঝর্ণা রায়।
প্রধান অতিথি মোহাম্মদ নাসিম পুরস্কার প্রাপ্তদের হাতে ক্রেস্ট, সনদ এবং প্রত্যেকে ৫০ হাজার টাকার চেক তুলে দেন।