জাপানের নাগোয়ায় জি-সেভেন সম্মেলনের পরদিন শুক্রবার আউটরিচ বৈঠক হয়। জি-সেভেনভুক্ত দেশগুলোর রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানদের পাশাপাশি জাতিসংঘের মহাসচিব বান কি-মুনসহ বিশ্ব ব্যাংক, এডিবি ও আইএমএফ এর প্রধানরা এ বৈঠকে অংশ নেন।
সকালে ওই বৈঠকের পর ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরনের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে অংশ নেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী। জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে এবং শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট মাইথ্রিপালা সিরিসেনার সঙ্গে শনিবার দ্বিপক্ষীয় বৈঠকের সূচি রয়েছে তার।
সাংবাদিকদের তিনি বলেন, “করিডোরে আলাপ হয়েছে। আমরা বলে থাকি করিডোরেই আসল আলাপ হয়। সেটা হয়েছে।”
আউটরিচ বৈঠকের প্রথম অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রীর একপাশে ছিলেন বারাক ওবামা, অন্যপাশে ছিলেন ইতালির প্রধানমন্ত্রী মাত্তিও রেনজি, তার পাশেই ছিলেন বান কি-মুন।
বৈঠকের ফাঁকে শেখ হাসিনার সঙ্গে ওবামা, মেরকেল ও কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোকে কথা বলতে দেখা যায়।
বিশ্ব অর্থনীতিতে সাত পরাশক্তি যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, জার্মানি, ফ্রান্স, কানাডা, ইতালি ও জাপানের জোট জি-সেভেনের আঞ্চলিক ও অর্থনৈতিক অগ্রগতির বিষয়ে আলোচনার জন্য জোটের বাইরে থেকে বিভিন্ন দেশকে আলাদা আমন্ত্রণ জানানো হয়। একেই বলা হচ্ছে জি-সেভেন আউটরিচ মিটিং।
বাংলাদেশ ছাড়াও লাওস, ভিয়েতনাম, ইন্দোনেশিয়া, শ্রীলঙ্কা, পাপুয়া নিউ গিনি ও শাদের রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানরা আউটরিচ বৈঠকে এশিয়া ও আফ্রিকার প্রতিনিধিত্ব করেন। জাপানের প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ আমন্ত্রণে এসেছেন আফ্রিকান ইউনিয়নের চেয়ারপারসন এবং বিশ্ব ব্যাংক, এডিবি ও আইএমএফ এর প্রধানরাও।
শনিবার দুপুরে নাগোয়া থেকে টোকিও যাবেন প্রধানমন্ত্রী। সেখানে তিনি বাংলাদেশ দূতাবাসের নতুন চ্যান্সেরি ভবন উদ্বোধন করবেন।