মাদ্রাসা ও কারিগরিতে নকল নিয়ে শিক্ষামন্ত্রীর খেদ

মাদ্রাসা ও কারিগরির পরীক্ষায় নকল হওয়া নিয়ে খেদ প্রকাশ করলেও শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদের দাবি এসএসসি ও এইচএসসিতে এখন আর তেমনটি ঘটে না।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 27 May 2016, 11:44 AM
Updated : 27 May 2016, 11:44 AM

আসন্ন ডিপ্লোমা ইন ইঞ্জিনিয়ারিং পরীক্ষা উপলক্ষে কেন্দ্র সচিবদের নিয়ে শক্রবার ঢাকায় দিনব্যাপী কর্মশালার উদ্বোধন করে মন্ত্রী এ মন্তব্য করেন।

দেশের সরকারি-বেসরকারি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটগুলোতে আগামী ১৬ জুন থেকে ডিপ্লোমা ইন ইঞ্জিনিয়ারিং পরীক্ষা শুরু হবে, যা শেষ হবে ২৫ জুলাই।

এবার এই পরীক্ষায় সরকারি-বেসরকারি ৪৫৬টি প্রতিষ্ঠানের এক লাখ ৯৩ হাজার ৯১৮ জন শিক্ষার্থী অংশ নেবেন।

এর মধ্যে এক লাখ ৭২ হাজার ৫৮২ জন ছাত্র এবং ২১ হাজার ৩৩৬ জন ছাত্রী।

আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে কারিগরি শিক্ষা বোর্ড আয়োজিত কর্মশালার আসন্ন ডিপ্লোমা ইন ইঞ্জিনিয়ারিং পরীক্ষার ২৫৮টি পরীক্ষা কেন্দ্রের কেন্দ্র সচিবরা উপস্থিত ছিলেন।

নাহিদ বলেন, “এসএসসি ও এইচএসসিতে নকল করাটা বন্ধ করে দিয়েছি। কিন্তু কতগুলো সমস্যা হলো আগের ধারাবাহিকতায় এখনও মাদ্রাসা ও কারিগরি লেভেলে টেন্ডেনসিটি রয়ে গেছে।

“আগের মত আর সুযোগ নেই, নকল করতে গেলেই ধরা পড়ে যায়। প্রতিবছর যে এক্সপেল হয় তার বড় কারণ নকল। নকল করতে গেলে জীবন ধ্বংস হয়ে যাবে।”

‘মাদ্রাসা ও কারিগরিতে নকল করা যায়’ এমন ধারণা অনেকের মধ্যেই আছে উল্লেখ করে এ ধরনের ‘অসৎ কার্যক্রম’ বন্ধে সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান জানান।

পাবলিক পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁস হয় না হওয়ায় সন্তোষ প্রকাশ করলেও ক্ষোভের সঙ্গে নাহিদ বলেন, “মানুষ সভ্য হয়ে গেছে কিন্তু আদিম কিছু প্রবৃত্তি এখনও ছাড়তে পারেনি। অনেকের চিন্তাভাবনার বদল হয়নি। … জানি না এগুলো কবে শেষ হবে।”

সভায় কারিগরি শিক্ষার প্রসারে নেওয়া বর্তমান সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপ দীর্ঘক্ষণ ধরে বিস্তারিতভাবে তুলে ধরেন শিক্ষামন্ত্রী।

তিনি বলেন, কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষায়ই আমাদের ভবিষ্যৎ। প্রকৃতভাবে দক্ষ করে তুলতে পারলে মানুষই বড় শক্তি।

কারিগরি শিক্ষায় দিন দিন শিক্ষার্থী বাড়ার তথ্য তুলে ধরে নাহিদ বলেন, “আমাদের লক্ষ্য ঠিক আছে, আমরা সঠিক পথেই চলছি। যারা কারিগরি শিক্ষা নিচ্ছে তাদের কেউ বেকার থাকবে না।”

সিঙ্গাপুরে ৬৫ শতাংশ, জার্মানিতে ৮০ শতাংশ এবং যুক্তরাষ্ট্রের মোট শিক্ষার্থীর ৭০ শতাংশের কারিগরি-বৃত্তিমূলক পড়াশোনার তথ্য জানিয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, “২০২০ সালের মধ্যে আমরা কারিগরি শিক্ষার এনরোলমেন্ট ২০ শতাংশ এবং ২০৩০ সালের মধ্যে তা ৩০ শতাংশে উন্নীত করার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছি।”

শিক্ষা সচিব সোহরাব হোসাইনের সভাপতিত্বে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ও কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অশোক কুমার বিশ্বাস, অতিরিক্ত সচিব অরুনা বিশ্বাস ও হেলাল উদ্দিন, আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক জীনাত ইমতিয়াজ আলী এবং কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মোস্তাফিজুর রহমান বক্তব্য দেন।