শুক্রবার সকালে প্রধানমন্ত্রী কাশিকো দ্বীপের শিমা কানকো হোটেলের ব্যাংকোয়েট হলে পৌঁছালে জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে তাকে স্বাগত জানান।
আউটরিচ মিটিংয়ে উপস্থিত বিভিন্ন দেশের সরকার প্রধানদের সঙ্গে জি-সেভেন জোটের সাত দেশের নেতারাও উদ্বোধনী সেশনে যোগ দেন।
বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এক পাশে ছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা; অন্যপাশে ইতালির প্রধানমন্ত্রী মাত্তিও রেনজি।
বাংলাদেশ ছাড়াও লাওস, ভিয়েতনাম, ইন্দোনেশিয়া, শ্রীলংকা, পাপুয়া নিউ গিনি ও শাদের রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানরা আউটরিচ বৈঠকে এশিয়া ও আফ্রিকার প্রতিনিধিত্ব করছেন।
জাপানের প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ আমন্ত্রণে এসেছেন আফ্রিকান ইউনিয়নের চেয়ারপারসন এবং বিশ্ব ব্যাংক, এডিবি ও আইএমএফ এর প্রধানরাও।
বিশ্ব অর্থনীতির সাত পরাশক্তির জোট জি-সেভেনের সম্মেলনের পাশাপাশি আঞ্চলিক উন্নয়ন ও অর্থনৈতিক অগ্রগতির বিষয়ে আলোচনার জন্য জোটের বাইরে থেকে বিভিন্ন দেশকে আলাদা বৈঠকে আমন্ত্রণ জানানো হয়। একেই বলা হচ্ছে জি-সেভেন আউটরিচ মিটিং।
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী আউটরিচ মিটিংয়ের দুই সেশনেই যোগ দেবেন। এছাড়া নেতৃবৃন্দের সঙ্গে মধ্যাহ্নভোজে অংশ নেবেন তিনি।
জি সেভেন আউটরিচ মিটিংয়ে যোগ দিতে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় জাপানের নাগোয়ার শুবু সেন্ট্রাইয়ার বিমানবন্দরে পৌঁছালে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে লাল গালিচা সংবর্ধনা দেওয়া হয়।
বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ রেহানা, পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী, এফবিসিসিআই সভাপতি আব্দুল মতলুব আহমাদের নেতৃত্ব ব্যবসায়ীদের ৩০ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল এবং আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য আক্তারুজ্জামান এই সফরে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে রয়েছেন।
চার দিনের সফরে জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে ছাড়াও শ্রীলংকার প্রেসিডেন্ট মাইথ্রিপালা সিরিসেনার সঙ্গে বৈঠক করবেন শেখ হাসিনা।
জি সেভেন আউটরিচ মিটিং শেষে শনিবার দুপুরে নাগোয়া থেকে টোকিও যাবেন প্রানমন্ত্রী। সেখানে তিনি বাংলাদেশ দূতাবাসের নতুন চ্যান্সেরি ভবন উদ্বোধন করবেন।
বাংলাদেশের ব্যবসায়ী ও শিল্পপতিদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই এবং জাপানের আন্তর্জাতিক বাণিজ্য সংস্থা জেইটিআরও এর মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক সই হওয়ার কথা রয়েছে প্রধানমন্ত্রীর এই সফরে।
রোববার সকালে জাপানের ব্যবসায়ীদের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর প্রাতরাশ বৈঠকের পর ওই সমঝোতা স্মারক সাক্ষরিত হওয়ার কথা।
জাপান প্রবাসী বাংলাদেশিদের এক সংবর্ধনায় যোগ দেওয়ার পর রোববার সন্ধ্যায় টোকিও থেকে ঢাকার পথে রওনা হওয়ার কথা রয়েছে প্রধানমন্ত্রীর।