ষষ্ঠ ও শেষ ধাপে ৪ জুন সাত শতাধিক ইউপির সঙ্গে এই উপজেলার ১৪টি ইউপিতে ভোট হওয়ার কথা ছিল।
ইসির উপ সচিব ফরহাদ আহাম্মদ খান বৃহস্পতিবার বলেন, ঘূর্ণিঝড়ে বাঁশখালীর তিনটি ইউপি’র নির্বাচন সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানসহ এলাকাটি বেশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এ বিষয়ে প্রতিবেদন পেয়ে ছনুয়া, গণ্ডামারা ও খানখাবাদ ইউপির ভোট আপাতত স্থগিত করেছে ইসি।
“পরে সুবিধাজনক সময় এসব ইউপিতে ভোট করা হবে,” বলেন তিনি।
দেশের উপকূলীয় অঞ্চলের অধিকাংশ ইউনিয়নের ভোট মার্চ মাসেই শেষ হয়েছে। এজন্যে ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষয়ক্ষতির কারণে অন্য কোনো ইউপির নির্বাচনী কাজে তেমন কোনো সমস্যা হচ্ছে না বলে জানান ফরহাদ।
ইসির সহকারী সচিব আশফাকুর রহমান জানান, তিন ইউপির ভোট স্থগিত সংক্রান্ত নির্দেশনা মাঠ পর্যায়ে পাঠানো হবে। বাঁশখালীর বাকি ইউনিয়নগুলোতে নির্ধারিত সময়েই ভোট হবে।
জলোচ্ছ্বাসের পানি বেড়িবাঁধ ভেঙে বাঁশখালীর বিভিন্ন এলাকায় ঢুকে পড়লে ওই ছয়জনের মৃত্যু হয় বলে চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক মেজবাহ উদ্দিন জানিয়েছেন।
বাঁশখালী থানার ওসি আলমগীর হোসেন জানিয়েছেন, জলোচ্ছ্বাসে উপজেলার খানখানাবাদ, গণ্ডামারা, শেখের খিল ও ছনুয়ায় বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়েছে। গণ্ডামারায় অন্তত আড়াইশ, ছনুয়ায় তিনশ বেশি ঘর-বাড়ি তলিয়ে গেছে।
এবারের ছয় ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের পঞ্চম ধাপের ভোট হবে আগামী শনিবার। এরপর ৪ জুন ষষ্ঠ ধাপের ভোটের মধ্য দিয়ে এবারের ইউপি নির্বাচন শেষ করার পরিকল্পনা ছিল ইসির।