জাতীয় প্রতিবন্ধী ফোরামের নেতারা বৃহস্পতিবার দেখা করে এটিসহ বিভিন্ন সমস্যা মোচনের দাবি জানালে অর্থমন্ত্রী একথা জানান।
নানা সমস্যার কথা জানানোর মধ্যে ‘প্রতিবন্ধী নারীদের জাতীয় পরিষদের’ সভাপতি নাসিমা আখতার বলেন, “বাইরে বের হলেই টয়লেট......। টয়লেট একেবারেই প্রতিবন্ধীবান্ধব না।”
জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, “আমাদের দেশে তো পাবলিক টয়লেটের সংখ্যাও খুব কম। প্রত্যেকের জন্যই এটা একটা মহা সমস্যা।”
বয়স হওয়ার কারণে নিজেও এই সমস্যায় পড়েন বলে জানান তিনি।
“আমি তো একটু বয়স্ক মানুষ। আই এক্সপেরিয়েন্সড দিস। সব জায়গায় যাওয়ার মতো জায়গা নেই। এটা (নিয়ে) বোধ হয় কিছু করা উচিৎ।”
রাজধানীতে অবিলম্বে তা করা দরকার বলে একজন বলে উঠলে অর্থমন্ত্রী বলেন, “কিছু কিছু জায়গায় হয়ত এটা করা যেতে পারে। আই উইল হ্যাভ মিটিং উইথ মেয়র আফটার দ্য বাজেট।”
একশটি স্থাপনের পরিকল্পনা নিয়ে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনে সম্প্রতি ৪টি নতুন গণশৌচাগার উদ্বোধন হয়েছে। এগুলোর মান নিয়ে যথেষ্ট উচ্চকিত মেয়র আনিসুল হক।
প্রতিবন্ধী সংগঠনের প্রতিনিধি দলের এক সদস্য পাবলিক টয়লেটে আলাদা একটি কক্ষ রাখার দাবিও করেন।
তার পরিপ্রেক্ষিতে মন্ত্রী বলেন, “পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে আছে তো। ইউ ক্যান গেট এনাদার রুম ফর ইনভ্যালিড। বিভিন্ন কাজের জন্য ব্যবহার করা যায়।”
তিনি হাসতে হাসতে বলেন, “আমি মাঝে মাঝে ব্যবহার করি, কেননা অন্য সব বন্ধ আছে, কিছু পাওয়া যাচ্ছে না এখানে। আমি সেই সুযোগ নেই যে, আমার তো হাঁটতে কষ্ট হয়। তো আমিও একটু প্রতিবন্ধী........ সেটা অবশ্য বয়সের কারণে হয়।”
অন্য এক দাবির জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, “আমি গতবার বলেছিলাম, অন্ততপক্ষে কিছু বাসে যাওয়ার জন্য একটা.... সেটা হয় নাই। আই শ্যাল সি, যাতে এটা করতে পারি। তবে একটা জিনিস লক্ষ্য করেছি, এখন বিল্ডিংয়ে ওঠার একটা ব্যবস্থা কিছু জায়গায় হচ্ছে।”
বাসের পাশাপাশি ট্রেনেও প্রতিবন্ধীদের উঠার কোনো ব্যবস্থা নেই-একজনের এ মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে অর্থমন্ত্রী বলেন, “কোনো যানবাহনেই কোনো ব্যবস্থা নেই। দুজন মিলে ধরে উঠাতে হয়।
“বাসের তো বিভিন্ন দেশে এগুলো আছে, নর্মাল ব্যবস্থা একটা। নিচু হয়ে যায়, উঠে যায়, কষ্টের কিছু নাই। আমাদের ওইভাবে ডিজাইন করতে হবে।”
প্রতিবন্ধী সংগঠনের নেতারা আরও বিভিন্ন দাবি জানালে মুহিত বলেন, “আপনাদের সমস্যা সম্পর্কে আমরা অবহিত। আমরা যেটা দিই, সেটা ন্যূনতম।”