বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৭টা ৫ মিনিটে বাংলাদেশ বিমানের একটি বোয়িং ৭৭৭ উড়োজাহাজে করে নাগোয়ার শুবু সেন্ট্রাইয়ার বিমানবন্দরে পৌঁছান তিনি।
বিমানবন্দরে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে লাল গালিচা সংবর্ধনা দেওয়া হয়। ওড়ানো হয় বাংলাদেশ ও জাপানের জাতীয় পতাকা।
জাপানের পররাষ্ট্র বিষয়ক ভাইস মিনিস্টার মিকি ইয়ামাদা, রাষ্ট্রাচার প্রধান কাওরু শিমাজাকি, আইচি প্রিফ্যাকচারের ডেপুটি গভর্নর হাজিমে নাকানিশি এবং জাপানে বাংলাদেশের হাই কমিশনার রাবাব ফাতিমা বিমানবন্দরে শেখ হাসিনাকে স্বাগত জানান।
তিনি উড়েজাহাজ থেকে নেমে এলে জাপানের ঐতিহ্যবাহী পোশাক পরিহিত এক তরুণী তার হাতে ফুলের তোড়া তুলে দেন।
পরে জাপানের সামরিক বাহিনীর একটি সুসজ্জিত দল শেখ হাসিনাকে সশস্ত্র সালাম জানায়।
শহরের প্রান্তে ওই বিমানবন্দর থেকে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে ‘নাগোয়া হিলটন’ হোটেলে নিয়ে যাওয়া হয় মোটর শোভাযাত্রা করে। এই সফরে নাগায়োয় তিন দিন অবস্থানকালে সেখানেই থাকবেন তিনি।
এর আগে সকাল সোয়া ১০টায় ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে জাপানের উদ্দেশ্যে রওনা হন শেখ হাসিনা।
চার দিনের সফরে জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে ছাড়াও ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন এবং শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট মাইথ্রিপালা সিরিসেনার সঙ্গে বৈঠক করবেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী শুক্রবার সকালে নাগোয়ার কাশিকো দ্বীপে জি-সেভেন আউটরিচ মিটিংয়ে যোগ দেবেন। সেখানেই দুপুরে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামরনের সঙ্গে তার বৈঠক হবে।
বাংলাদেশ ছাড়াও লাওস, ভিয়েতনাম, ইন্দোনেশিয়া, শ্রীলঙ্কা, পাপুয়া নিউ গিনি ও শাদের সরকার প্রধান এবং আফ্রিকান ইউনিয়নের চেয়ারপারসন আউটরিচ বৈঠকে যোগ দিচ্ছেন।
বিশ্ব অর্থনীতির সাত পরাশক্তির জোট জি-সেভেনের সম্মেলনের পাশাপাশি আঞ্চলিক উন্নয়ন ও অর্থনৈতিক আগ্রগতির বিষয়ে আলোচনার জন্য জোটের বাইরে থেকে বিভিন্ন দেশকে আলাদা বৈঠকে আমন্ত্রণ জানানো হয়। একেই বলা হচ্ছে জি-সেভেন আউটরিচ মিটিং।
নাগোয়া থেকে শনিবার দুপুরে টোকিও যাবেন প্রধানমন্ত্রী। সেখানে বাংলাদেশ দূতাবাসের নতুন চ্যান্সেরি ভবন উদ্বোধন করবেন তিনি।
বাংলাদেশের ব্যবসায়ী ও শিল্পপতিদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই এবং জাপানের অভ্যন্তরীণ বাণিজ্য সংস্থা জেইটিআর এর মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক সই হওয়ার কথা রয়েছে প্রধানমন্ত্রীর এই সফরে।
রোববার সকালে জাপানের ব্যবসায়ীদের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর প্রাতরাশ বৈঠকের পর ওই সমঝোতা স্মারক সাক্ষরিত হওয়ার কথা।
জাপান প্রবাসী বাংলাদেশিদের এক সংবর্ধনায় যোগ দেওয়ার পর রোববার সন্ধ্যায় টোকিও থেকে ঢাকার পথে রওনা হওয়ার কথা রয়েছে প্রধানমন্ত্রীর।