একাদশে ভর্তি: এসএমএসে ফি শোধে বিড়ম্বনা

একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির আবেদন গ্রহণের প্রথম দিন সার্ভার জটিলতা না ঘটলেও রাষ্ট্রায়ত্ত মোবাইল অপারেটর টেলিটকের মাধ্যমে এসএমএসে ফি জমা দিতে বিড়ম্বনায় পড়তে হচ্ছে শিক্ষার্থীদের।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 26 May 2016, 08:33 AM
Updated : 26 May 2016, 09:25 AM

আন্তঃশিক্ষা বোর্ড কর্তৃপক্ষ এবং এই ভর্তি প্রক্রিয়ায় কারিগরি সহযোগিতায় থাকা বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা বলছেন, বিষয়টি নিয়ে তারা টেলিটকের সঙ্গে কথা বলেছেন, ‘শিগগিরই’ জটিলতা কেটে যাবে।

বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৯টা থেকে অনলাইনের পাশাপাশি এসএমএসের মাধ্যমে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির আবেদন নেওয়া শুরু করে আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় সাব-কমিটি। আবেদন করা যাবে ৯ জুন রাত ১১টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত।

আবেদন গ্রহণ শুরুর পর শিক্ষার্থীরা এসএমএসে ফি পরিশোধ করতে গিয়ে সঙ্গে সঙ্গে ‘রেসপন্স’ পাচ্ছিলেন না। এ অবস্থায় গতবারের মতো সার্ভারে জটিলতা দেখা দিয়েছে বলে গুজবও ছড়িয়ে পড়ে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ভর্তি প্রক্রিয়ার সঙ্গে সম্পৃক্ত বুয়েটের কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক মোহাম্মদ মাশরুর আলী বৃহস্পতিবার দুপুরে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, সার্ভারে কোনো সমস্যা হয়নি।

“সমস্যা হচ্ছে যখন (আবেদনকারী) পেমেন্ট করতে যাচ্ছে, টেলিটকে পেমেন্টটায় দেরি হচ্ছে। এই সমস্যার কথা টেলিটককে জানানো হয়েছে।… টাকা জমা দিতে যদি আধঘণ্টা লেগে যায় অনেকেই ভয় পেয়ে যাবে।”

বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৯টা থেকে বেলা পৌনে ১টা পর্যন্ত অনলাইনে ৮ হাজার এবং এসএমএসে মাধ্যমে ২ হাজার ২০০ আবেদন জমা পড়েছে বলে অধ্যাপক মাশরুর জানান।

এসএমএসে আবেদন ফি জমা দিতে গিয়ে শিক্ষার্থীদের সমস্যার বিষয়ে ব্যাখ্যা দিয়েছেন আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় সাব-কমিটির কলেজ পরিদর্শক মো. আশফাকুস সালেহীন।

বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, কোনো শিক্ষার্থী এসএমএসে ফি জমা দেওয়ার আবেদন করলে তার সব তথ্য শিক্ষা বোর্ডের সার্ভারের সঙ্গে মিলিয়ে দেখে তারপরই টাকা কেটে নেওয়া হয়। ফলে সময় বেশি লাগছে।

“প্রথম দিকে একটু এদিক-ওদিক হতে পারে। টেলিটকের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে আমরা কথা বলেছি, টাইম কমানো নিয়ে টেলিটক কাজ করছে। কিছুক্ষণের মধ্যে এটা ঠিক হয়ে যাবে।”

একাদশে ভর্তি কার্যক্রমের সঙ্গে সম্পৃক্ত বুয়েটের কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক মোহাম্মদ কায়কোবাদ বলেন, “অনেক হিট হচ্ছে, এরপরও সবকিছু ঠিক আছে।”

এবার শিক্ষার্থীরা অনলাইনে আবেদন করে ১০টি এবং এসএমএসের মাধ্যমে আরও ১০টি কলেজে ভর্তির আবেদন করতে পারছেন।

দুই পদ্ধতিতেই আবেদন করার আগে শিক্ষার্থীকে টেলিটকের প্রি-পেইড সিম ব্যবহার করে আবেদন ফি জমা দিতে হচ্ছে।

মাধ্যমিক ও সমমানের পরীক্ষায় এবার ১৪ লাখ ৭৩ হাজার ৫৯৪ জন পাস করেছেন, জিপিএ-৫ পেয়েছেন ১ লাখ ৯ হাজার ৭৬১ জন।

গত কয়েক বছর ধরেই মাধ্যমিক পরীক্ষার ফলের ভিত্তিতে একাদশ শ্রেণিতে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হচ্ছে। তবে গতবছরই প্রথমবারের মতো আন্তঃশিক্ষা বোর্ড কর্তৃপক্ষ সমন্বিতভাবে এক সার্ভারের মাধ্যমে অনলাইন ও এসএমএসে আবেদনের বিষয়টি সমন্বয় শুরু করে।

গতবছর জুন-জুলাইয়ে প্রায় দেড় মাস ধরে অনলাইন ও এসএমএসে আবেদন গ্রহণ করতে সমস্যা না হলেও ভর্তি ফল প্রকাশ করতে গিয়ে সার্ভারে কারিগরি জটিলতা দেখা দেয়।

সেই জটিলতা কাটিয়ে নির্ধারিত তারিখের তিন দিন পর একাদশ শ্রেণিতে ভর্তিচ্ছুদের মেধা তালিকা প্রকাশ করে আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় সাব কমিটি।