বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল মিলনায়তনে বৃহস্পতিবার ইউডিসি উদ্যোক্তাদের জন্য মাস্টার ট্রেইনার তৈরির প্রশিক্ষণের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এই তথ্য জানান তিনি।
পলক বলেন, “তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের ‘তৃণমূলের তথ্য জানালা’ কর্মসূচির আওতায় দেশের ৬৪টি জেলার এসব উদ্যোক্তাদের আউট সোসিং ও ই-কমার্সের উপর প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে, যাতে তারা ইউডিসিতে মিনি বিজনেস প্রসেস আউটসোর্সিং সেন্টার (বিপিও) পরিচালনায় দক্ষ হয়ে উঠে।
চার হাজার ৫৫০টি ইউনিয়ন পরিষদের একটি করে ‘ডায়নামিক ওয়েবসাইট’ রয়েছে রয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, “ইউডিসি উদ্যোক্তাদের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে বিভিন্ন উন্নয়নমূলক ফিচার ও প্রতিবেদন লেখায় দক্ষ করে তোলা হবে, যাতে তারা তৃণমূলের অবাধ তথ্যপ্রবাহ নিশ্চিত করার সুযোগ সৃষ্টি করে।”
তৃণমূলের তথ্যজানালা ওয়েবসাইটে একটি ইউজার জেনারেটেড কনটেন্ট (ইউজিসি) সাইট থাকবে, যেখানে ইউডিসি উদ্যোক্তাদের বিভিন্ন সংবাদ, তথ্য ও ছবি জমা হবে বলে জানান তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী।
তৃণমূলের উন্নয়ন সংশ্লিষ্ট তথ্য, ঘটনা বা কাহিনী এবং আর্থ-সামাজিক অবস্থার প্রকৃত চিত্র জাতীয় পর্যায়ে তুলে এনে সুশাসন প্রতিষ্ঠার অনুকুলে নাগরিকদের উন্নয়ন সক্ষমতা বৃদ্ধিতে সহায়তা করা এই কর্মসূচির উদ্দেশ্য বলে জানান প্রতিমন্ত্রী।
“ইউডিসি উদ্যোক্তাদের আয় বৃদ্ধিতে আউটসোর্সিং ও ই-কমার্সের ব্যবহারিক ও প্রয়োগিক দিকের উপর প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। এতে করে একজন উদ্যোক্তা এলাকার অন্যদের প্রশিক্ষণ দিয়ে গ্রামের তরুণ-তরুণীদের আত্মকর্মসংস্থান সুযোগ প্রসারিত করতে সক্ষম হবে।”
ভবিষ্যতে প্রতিটি ডিজিটাল সেন্টারকে এক একটি বিপিও সেন্টার হিসেবে গড়ে তুলতে সরকারের পরিকল্পনায় রয়েছে বলেও তিনি জানান।
সাংবাদিকদের প্রশ্নে পলক বলেন, “তিন বছরমেয়াদি ‘তৃণমূলের তথ্যজানালা’ কর্মসূচি বাস্তবায়নে ছয় কোটি ৪২ লাখ টাকা ব্যয় হবে।”
প্রধান তথ্য কমিশনার ড. গোলাম রহমান, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিব শ্যাম সুন্দর সিকদার, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এটুআই প্রকল্প পরিচালক ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মহাপরিচালক (প্রশাসন) কবির বিন আনোয়ারসহ অন্যরাও বক্তব্য রাখেন ।
এ কর্মসূচি বাস্তবায়নে পরামর্শ সহায়তা দিচ্ছে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এটুআই প্রোগ্রাম; বাস্তবায়নে সহযোগী হিসেবে কাজ করছে তথ্যসেবা বার্তা সংস্থা (টিএসবি)।