বুধবার সকালে সায়েদাবাদ বাস টার্মিনালে ডিজেলচালিত বাসে পুনঃনির্ধারিত ভাড়া কার্যকর হচ্ছে কী না, তা দেখতে গিয়ে মন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, “বিআরটিএ ভুল করেছে, তারা যে চার্ট করেছে, তা বাস্তবতার নিরিখে করেনি, আবারও বলব মালিক-শ্রমিক স্টেকহোল্ডার সাথে বসে ভাড়ার বিষয়টি পরিস্কার করতে হবে।”
এসময় বিআরটিএ চেয়ারম্যান মো. নজরুল ইসলামসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা মন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন।
এর আগে মন্ত্রী টার্মিনালের বাইরে কয়েকটি বাসের ভাড়া নিয়ে যাত্রী ও চালকদের সঙ্গে কথা বলেন।
গত ১ মে জ্বালানি তেলের দাম কমানোর পর ডিজেলচালিত দূরপাল্লার বাস ও মিনিবাসের ভাড়া প্রতি কিলোমিটারে ৩ পয়সা হারে কমিয়ে ১৫ মে থেকে নতুন ভাড়া কার্যকর করা হয়েছে।
কিছু কিছু বাস মালিক পুনঃনির্ধারিত হারে ভাড়া নিচ্ছে না জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, “কোনো কোনো পরিবহন যুক্তি দেখাচ্ছে তারা আগেই ভাড়া কমিয়েছে। কোনো কোনো পরিবহন ৩০০ টাকার ভাড়া ২৫০ টাকা নিচ্ছে এক বছর ধরে। মালিকরা স্বাভাবিকভাবে বলতে চাচ্ছেন ৫০ টাকা কম নিচ্ছি, এখন আর কমাব কীভাবে?
“আমি বলব এর আগে ২৫০ টাকা নিলেও তা ছিল আপনার সিদ্ধান্ত, এখন নতুন যে সিদ্ধান্ত হয়েছে তা কার্যকর করতে হবে, মেনে চলতে হবে।”
পরিবহন মালিকদের আচরণে ক্ষোভ প্রকাশ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, “তেল বা গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধির কারণে ভাড়া যখন বেড়ে যায় তখন তারা পুনঃনির্ধারিত ভাড়ার চেয়েও বেশি নেন।
“আর এখন ৩ থেকে ৯ টাকা ভাড়া কমানোর ব্যাপারে কেন আমাদের এত কষ্ট করতে হচ্ছে, আমরা কি ব্যবসা করতে গিয়ে জনস্বার্থ দেখব না?”