মামলায় ‘তারিকুল ইসলাম তামিম’ নামে একজনকে আসামি করা হয়েছে।
তার পরিচয় হিসাবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের চতুর্থ বর্ষের ছাত্র উল্লেখ করা হলেও পুলিশ বলছে, সে আদৌ ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র কিনা সে ব্যাপারে নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
এরই মধ্যে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে করা ওই মামলার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
ফেইসবুকে প্রায় দুই মাস ধরে সম্পর্কের পর রোববার ওই শিক্ষার্থীকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় ডেকে আনে ‘তামিম’। সেখানে দেখা হওয়ার পর বাসায় এগিয়ে দেওয়ার কথা বলে রোববার মতিঝিলের একটি হোটেলে গিয়ে উঠে তারা।
সেখানেই ‘ধর্ষণের’ ঘটনা ঘটেছে বলে সোমবার ওই শিক্ষার্থী অভিযোগ করেন।
এদিকে ‘তামিমের’ স্থায়ী ঠিকানা হিসাবে পটুয়াখালীর বাউফল উল্লেখ রয়েছে মামলায়। সেটিও সঠিক নয় বলে পুলিশ জানতে পেরেছে।
মতিঝিল থানার ওসি ফারুক হোসেন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “যাকে আসামি করা হয়েছে সে আসলেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র কিনা সে ব্যাপারে নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তাছাড়া তার স্থায়ী ঠিকানাও ভুয়া।
“তবে কিছু তথ্যের ভিত্তিতে তামিম নামে ওই যুবককে খুঁজে বের করার চেষ্টা চলছে। আশা করা যাচ্ছে তাকে পাওয়া যাবে।”
ওই শিক্ষার্থীর বাবা মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “তার মেয়ে এখনও সুস্থ হয়নি; মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছে।”