এরা হলেন- ব্যাংকটির সাবেক কর্মকর্তা সাইফুল হাসান (৫৪) এবং ঋণ গ্রহণকারী প্রতিষ্ঠান প্যারাগন নিট কম্পোজিট লিমিটেডের পরিচালক আবদুল্লাহ আল মামুন (৩১) ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক সাইফুল ইসলাম (৩৮)।
ঢাকার ৫ নম্বর বিশেষ জজ আদালতের বিচারক আখতারুজ্জামান মঙ্গলবার এ রায় ঘোষণা করেন।
সোনালী ব্যাংক রূপসী বাংলা হোটেল শাখা থেকে নিয়ম বহির্ভূতভাবে ৩ হাজার ৬০৬ কোটি ৪৮ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার ঘটনায় যে মামলাগুলো হয়েছিল,সেগুলোর মধ্যে এই প্রথম কোনো একটির রায় হল। তবে দণ্ডিতরা সবাই পলাতক। তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।
২০১০ থেকে ২০১২ সালের মার্চ পর্যন্ত সময়ে সোনালী ব্যাংকের রূপসী বাংলা শাখা থেকে অনিয়মের মাধ্যমে হল-মার্ক গ্রুপের আড়াই হাজার কোটি টাকা ঋণ নেওয়ার ঘটনা প্রকাশ পেলে ব্যাপক শোরগোল ওঠে।
এরপর এ ঘটনার তদন্তে গিয়ে ব্যাংকের ওই শাখা থেকে আরও পাঁচটি প্রতিষ্ঠানের একই কায়দায় ঋণ জালিয়াতির সন্ধান পায় দুদক।
ওই পাঁচ প্রতিষ্ঠানের একটি প্যারাগন নিট কম্পোজিট; প্রতিষ্ঠানটির কর্তাব্যক্তিরা ব্যাংক কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগসাজশে ঋণ জালিয়াতির মাধ্যমে ২ কোটি ২২ লাখ ৭৮ হাজার ৬১০ টাকা আত্মসাৎ করেন বলে মামলায় বলা হয়।
দুদকের সহকারী পরিচালক নাজমুস সাদাত বাদী হয়ে ২০১৩ সালের ২৮ মে রমনা থানায় এ মামলা করেন। তদন্ত শেষে পরের বছর ১১ জুন দুদকের তৎকালীন উপসহকারী পরিচালক মো. জয়নাল আবেদীন চারজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেন।
তাদের মধ্যে সোনালী ব্যাংকের সাবেক ডিজিএম এ কে এম আজিজুর রহমান মারা গেছেন।