সরকারি চাকরিতে কারিগরি থেকে উত্তীর্ণ মেডিকেল টেকনোলজিস্টরাও

এখন থেকে করিগরি শিক্ষা বোর্ড অনুমোদিত প্রতিষ্ঠান থেকে মেডিকেল টেকনোলজিতে ডিপ্লোমা পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরাও সরকারি চাকরির জন্য আবেদন করতে পারবেন।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 24 May 2016, 01:35 PM
Updated : 24 May 2016, 02:54 PM

সরকারি পর্যায়ে মেডিকেল টেকনোলজিস্ট পদে নিয়োগে রাষ্ট্রীয় চিকিৎসা অনুষদ ও কারিগরি শিক্ষা বোর্ড থেকে উত্তীর্ণ প্রার্থীদের প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের সুযোগ নিশ্চিত করতে হবে বলে রায় দিয়েছে হাই কোর্ট।

চারটি রিটের প্রেক্ষিতে আসা এবিষয়ে রুল নিষ্পত্তি করে মঙ্গলবার বিচারপতি গোবিন্দ চন্দ্র ঠাকুর ও বিচারপতি আবু তাহের মো. সাইফুর রহমানের বেঞ্চ থেকে এই রায় আসে।

রায়ের পর ডেপুটি অ্যার্টনি জেনারেল এ এস এম নাজমুল হক বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “স্বীকৃতিপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠান রাষ্ট্রীয় চিকিৎসা অনুষদ ও কারিগরি শিক্ষা বোর্ড থেকে পাস করা সনদধারীরা সরকারি পর্যায়ে চাকুরির জন্য প্রতিযোগিতা করতে পারবে বলে নির্দেশ দিয়ে রুল নিষ্পত্তি করে রায় দিয়েছে আদালত।”

মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০১৩ সালের ১৬ জানুয়ারি মেডিকেল টেকনোলজিস্টসহ (ল্যাব, ফার্মাসিস্ট, নার্সিং, রেডিওলজি, ফিজিওথেরাপি ও ডেন্টাল) ২ হাজার ৭৭টি পদের বিপরীতে নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এতে বলা হয়, রাষ্ট্রীয় চিকিৎসা অনুষদ কর্তৃক অনুমোদিত ইন্সটিটিউট অব হেলথ টেকনোলজি থেকে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে তিন বছরমেয়াদি (তখনকার) ডিপ্লোমা কোর্স উত্তীর্ণরা এই পদের জন্য আবেদন করতে পারবে।

ওই সময়ে একই বিষয়ে কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে দেশের ২২৭ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে মেডিকেল টেকনোলজির ডিপ্লোমা সনদ দেওয়া হলেও বিজ্ঞপ্তিতে এই সনদধারীদের অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি।

তাই এই বিজ্ঞপ্তির বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রাজীব কুমার মণ্ডল ও নাজমুল হকসহ কারিগরি শিক্ষা বোর্ড থেকে উত্তীর্ণ (ডিপ্লোমা ইন মেডিকেল টেকনোলজি) কয়েকজন এবং কারিগরি বোর্ডের অধিভুক্ত ওই কোর্স পরিচালনাকারী ইন্সটিটিউটের পক্ষে ডা. আ জ ম দৌলত আল মামুন পৃথক চারটি রিট আবেদন করেন।

আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে হাই কোর্ট ২০১৩ সালে রুলসহ ওই বিজ্ঞপ্তির কার্যকারিতা স্থগিত করে। চূড়ান্ত শুনানি শেষে মঙ্গলবার এসব রুলই নিষ্পত্তি করে রায় দিল হাই কোর্ট।

আদালতে রিট আবেদনকারীদের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ, আইনজীবী কে এম হাফিজুল আলম ও ব্যারিস্টার মাহবুব শফিক।

রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ এস এম নাজমুল হক।

পরে ব্যারিস্টার মাহবুব শফিক বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, রাষ্ট্রপক্ষ শুনানিতে জানায়, “সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাষ্ট্রীয় চিকিৎসা অনুষদ ও কারিগরি শিক্ষা বোর্ড থেকে উত্তীর্ণ সবাইকে সমান সুযোগ ও সমঅধিকার দেওয়া হবে। হাই কোর্ট পর্যবেক্ষণসহ রুল নিষ্পত্তি করে দিয়েছে।

“সরকারি পর্যায়ে মেডিকেল টেকনোলজিস্ট পদে নিয়োগের ক্ষেত্রে কারিগরি শিক্ষা বোর্ড ও রাষ্ট্রীয় চিকিৎসা অনুষদ থেকে পাস করা শিক্ষার্থীদের সমসুযোগ নিশ্চিত করতে হবে, প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার মাধ্যমে ওই দুইয়ের মধ্য থেকে যারা উত্তীর্ণ হবে তাদের নিয়োগ দিতে হবে বলে আদালত পর্যবেক্ষণ দিয়েছে।”