বিএনপির এই যুগ্ম মহাসচিবকে গত ১৫ মে ৫৪ ধারায় গ্রেপ্তারের পরদিন আদালতের অনুমতি নিয়ে সাত দিনের জন্য হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ।
ওই রিমান্ডের মেয়াদ শেষে মঙ্গলবার তাকে ঢাকার আদালতে হাজির করে নাশকতার দুটি মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে পুনরায় হেফাজতে নেওয়ার আবেদন করা হয়।
ডিএমপির উপ-কমিশনার (মিডিয়া) মাসুদুর রহমান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, লালবাগ ও মতিঝিল থানায় দায়ের করা দুটি মামলায় আসলামকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ১০ দিন করে হেফাজতে চাওয়া হয়।
মতিঝিল ও লালবাগ থানায় করা এই মামলা দুটির একটিতে মহানগর হাকিম লস্কার সোহেল রানার আদালতে এবং অন্যটিতে হাকিম মারুফ হোসেনের আদালতে তোলা হয় বিএনপি নেতাকে।
আসলামের অন্যতম আইনজীবী খায়রুল ইসলাম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, দুই আদালত গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করে রিমান্ডের শুনানির জন্য আগামী ৩০ মে দিন রেখেছেন।
যে অভিযোগে (৫৪ ধারা) আসলামকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছিল, তাতে জামিনের আবেদন করা হলেও তা বিচারক নাকচ করেন বলে এই আইনজীবী জানান।
জামিন আবেদন নাকচ করে বিচারক বিএনপি নেতাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
মতিঝিল থানার মামলাটি গত বছরের ৪ জানুয়ারির এবং লালবাগ থানার মামলাটি গত বছরের ৫ জানুয়ারির। দুই মামলায় ভাংচুর, অগ্নিসংযোগ, পুলিশের কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে।
গ্রেপ্তারের পর রিমান্ডে নেওয়া হলে তার কার্যকারিতা স্থগিত চেয়ে হাই কোর্টে আবেদন করেছিলেন আসলাম।
ওই আবেদনে গত রোববার হাই কোর্টের আদেশে বলা হয়, এই আবেদনের নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত নতুন করে আসলামকে রিমান্ডে নিতে পারবে না পুলিশ।