নূরজাহান বেগমের মৃত্যুতে বিভিন্ন সংগঠনের শোক

বাংলাদেশসহ উপমহাদেশে নারীদের প্রথম সাপ্তাহিক ‘বেগম’ এর সম্পাদক নূরজাহান বেগমের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছে একাধিক রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক ও পেশাজীবী সংগঠন।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 23 May 2016, 03:33 PM
Updated : 23 May 2016, 03:33 PM

বার্ধক্যজনিত কারনে ৯১ বছর বয়সে সোমবার সকালে জীবনাবসান ঘটে নূরজাহান বেগমের, যাকে বাংলাদেশের নারী সম্পাদকদের পথিকৃৎ বলা হয়।

নূরজাহান বেগম এদেশের নারী সমাজের শিক্ষা, অগ্রগতি ও নারী আন্দোলনে অনন্য ভূমিকা রেখেছেন মন্তব্য করে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) পাঠানো এক শোক বার্তায় বলা হয়, “নূরজাহান বেগমের মৃত্যুতে এদেশের নারী সমাজের অগ্রগতির ক্ষেত্রে যে ক্ষতি হল, তা সহজে পূরণ হওয়ার নয়।”

বাংলাদেশের সমাজতান্তিক দল (বাসদ) এর সম্পাদক খালেকুজ্জামান এক শোকবার্তায় বলেন, ‘বেগম’ শুধু একটি পত্রিকা নয়, এটি ছিল একটি আন্দোলন। পশ্চাৎপদ সমাজে নারীদেরকে আত্মশক্তিতে উদ্বুদ্ধ করার ক্ষেত্রে বেগম পত্রিকার অনন্য ভূমিকা ছিল।

সাংস্কৃতিক সংগঠন চারণ সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের আহ্বায়ক জাহেদুল হক মিলু এক বার্তায় বলেন, “ধর্মের অনুশাসন, পুরুষতান্ত্রিক সমাজের কঠোর শৃঙ্খল আর পশ্চাৎপদ সমাজের অন্ধকার উপমহাদেশের মুসলিম নারীদের অবরোধবাসিনী করে রেখেছিল।

“নূরজাহান বেগম এই অচলায়তন ভাঙতে সাময়িকী প্রকাশনার গুরুদায়িত্ব নিয়েছিলেন। তার মৃত্যু একটি বড় শূন্যতা তৈরি করল নারী জাগৃতি ও সাংস্কৃতিক মুক্তির লড়াইয়ে।”

নূরজাহান বেগমকে হারিয়ে জাতি একজন যোগ্য গণমাধ্যম অভিভাবককে হারিয়েছে বলে মন্তব্য করা হয় রুর‌্যাল জার্নালিস্ট ফাউন্ডেশন (আরজেএফ) এর শোক বার্তায়।

১৯৪৭ সাল থেকে প্রকাশিত হতে শুরু করে উপমহাদেশের নারীদের জন্য প্রথম সাপ্তাহিক ‘বেগম’। বাংলাদেশের অনেক নারী সাংবাদিক ও লেখকদের হাতে খড়ি হয় এই ‘বেগম’ এর মাধ্যমে।

‘বেগম’ এর দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে জীবনের শেষদিন পর্যন্ত পত্রিকাটির সম্পাদক হিসেবেই কাজ করে গেছেন নূরজাহান বেগম। তার মৃত্যুতে এর আগে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শোক প্রকাশ করেছেন।