ভোটের জন্য প্রস্তুত ৯ পৌরসভা, প্রচার শেষ মধ্যরাতে

তৃতীয় ধাপের পৌর নির্বাচনকে সামনে রেখে সোমবার মধ্যরাতে শেষ হচ্ছে মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীদের প্রচার-প্রচারণার সময়।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 23 May 2016, 02:22 PM
Updated : 23 May 2016, 02:22 PM

বুধবার সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত একটানা ভোট চলবে নরসিংদীর জেলার ঘোড়াশাল ও রায়পুরা, লক্ষ্মীপুর জেলার লক্ষ্মীপুর সদর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা, নোয়াখালী জেলার নোয়াখালী ও সেনবাগ, ফেনীর ছাগলনাইয়া, কক্সবাজারের টেকনাফ ও খাগড়াছড়ির রামগড় পৌরসভায়।

এরই মধ্যে ভোটের সব ধরনের প্রস্তুতি শেষ করে আনা হয়েছে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনের সহকারী সচিব রাজীব আহসান।

তিনি বলেন, “নির্বাচনী এলাকায় ইতোমধ্যে মোটরসাইলে চলাচলে নিষধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। নির্বাহী ও বিচারকি হাকিম নিয়োজিত রয়েছে। বিজিবি-র্যা বসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরাও মাঠে রয়েছেন।”

বৈধ প্রার্থীর মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের সময় পার হওয়ার পর টেকনাফ পৌরসভার মেয়র পদে এবং ঘোড়াশাল পৌরসভার ১, ২, ৩, ৫, ৭ ও ৮ নম্বর সাধারণ ওয়ার্ড ও কসবার ৭ নম্বর সংরক্ষিত ওয়ার্ডে সদস্য পদের একক প্রার্থীরা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।

বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত পদ ছাড়া বাকি মেয়র, সাধারণ ও সংরক্ষিত সদস্য পদে ব্যালটে ভোট হবে।

রাজীব আহসান জানান, গত ৯ পৌরসভায় মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী রয়েছেন ২৬ জন। এরমধ্যে দলীয় ২১ জন ও পাঁচজন স্বতন্ত্র। সাধারণ সদস্য পদে ৩১৫ জন ও সংরক্ষিত পদে ৭০ জন প্রার্থী রয়েছেন।

এসব পৌরসভায় ভোটার ৩ লাখ ১৩ হাজার ৬৯১ জন এবং ভোটকেন্দ্র ১৩৩টি ও ভোটকক্ষ ৮৯৭টি।

স্থানীয় সরকারের এই নির্বাচনে এবারই প্রথম মেয়র পদে দলীয় প্রতীকে ভোট হচ্ছে।

প্রথম পর্বে গত ৩০ ডিসেম্বরের ভোটের পর ২৩৪ পৌরসভার মধ্যে ২২৭টির ফল ঘোষণা হয়েছে। এতে আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা ১৭৭ পৌরসভায় ও বিএনপির প্রার্থীরা ২২ পৌরসভায় জয় পেয়েছেন।

জাতীয় পার্টির একজন মেয়র হয়েছেন। আর ভোটে যে ২৬ জন স্বতন্ত্র প্রার্থী বিজয়ী হন তাদের ১৮ জনই ছিলেন আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী।

দ্বিতীয় পর্বে গত ২১ মার্চের ভোটে ১০ পৌরসভার সবকয়টিতে জয় পান ক্ষমতাসীন দলটির প্রার্থীরা।