শুক্রবার মিরপুরের পল্লবী থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে র্যাব-৪ এর অধিনায়ক লুৎফুল কবির জানিয়েছেন।
দর্শনায় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের ওই ভবন নির্মাণে নির্মাণে বাঁশ ও সুরকিসহ নিম্নমানের উপকরণ ব্যবহারের অভিযোগে ঢাকার সিনিয়র মনিটরিং ইভালুয়েশন অফিসার মেরিনা জেবুন্নাহার বাদী হয়ে ১২ এপ্রিল দামুড়হুদা থানায় মামলা করেন।
মামলায় ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান জয় কন্সট্রাকশনের এমডি মনির সঙ্গে পরামর্শক প্রতিষ্ঠান ইঞ্জিনিয়ারিং কনসোর্টিয়াম লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবদুস সাত্তার ও প্রকল্প বিশেষজ্ঞ আইয়ুব হোসেনকে আসামি করা হয়।
অপর দুই আসামিকে এখনো গ্রেপ্তার করতে পারেনি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
দামুড়হুদা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) লিয়াকত হোসেন জানান, দণ্ডবিধির ৪০৬ ও ৪২৭ ধারায় প্রতারণা ও ক্ষতি করার অভিযোগে করা মামলাটি চুয়াডাঙ্গার জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম কুষ্টিয়ায় দুর্নীতি দমন ব্যুরোর কার্যালয়ে তদন্তের জন্য পাঠিয়েছেন।
গত ৬ এপ্রিল দর্শনা স্থলবন্দরে ‘উদ্ভিদ সংগ নিরোধ ভবন’ নির্মাণকাজে লোহার রডের পরিবর্তে বাঁশ ব্যবহারের অভিযোগ তোলে এলাকাবাসী। এরপর নির্মাণকাজ বন্ধ করে দিয়ে ঘটনা তদন্তে দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফরিদুর রহমানের নেতৃত্বে তিন সদস্যের কমিটি করে জেলা প্রশাসন।
জেলা প্রশাসক সায়মা ইউনুসের কাছে জমা দেওয়া প্রতিবেদনে বলা হয়, নির্মাণাধীন ওই ভবনের ঢালাইয়ে রড না দিয়ে বাঁশের ফালি এবং খোয়ার পরিবর্তে পরিত্যক্ত সুরকিসহ নিম্নমানের উপকরণ ব্যবহার করা হয়েছে।
দর্শনা পৌরসভার পাশে ৩ হাজার ৭৫০ বর্গফুট আয়তনের ওই ল্যাবরেটরি ও অফিস ভবন নির্মাণের কাজ শুরু হয় গত বছরের ১ ডিসেম্বর। এর মধ্যে ভবনটির প্রায় ৭০ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে; জুনে ভবনটি হস্তান্তরের কথা রয়েছে।
অধিদপ্তরের ফাইটো স্যানিটারি ক্যাপাসিটি শক্তিশালীকরণ প্রকল্পের আওতায় ২ কোটি ১০ লাখ টাকায় ভবনটি নির্মাণ করছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ঢাকার ফার্মগেটের জয় কনস্ট্রাকশন।