শুক্রবার ঢাকায় এক আলোচলা সভা শেষে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, “অতীতে অন্যান্য ফাঁসি যেভাবে নিয়ম মেনে কার্যকর করা হয়েছে, এটাও সেভাবে সব আইনি প্রক্রিয়া শেষে কার্যকর করা হবে।”
হত্যা, ধর্ষণ এবং বুদ্ধিজীবী গণহত্যার মতো মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে একাত্তরের বদর প্রধান নিজামীর মৃত্যুদণ্ডের যে রায় আপিল বিভাগ দিয়েছিল, তা পুনর্বিবেচনার আবেদন বৃহস্পতিবার খারিজ করে দেয় সর্বোচ্চ আদালত। এর মধ্য দিয়ে এ মামলার সব বিচারিক প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়।
রিভিউ খারিজের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশিত হলে তা ট্রাইব্যুনালের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হবে। নিজামীর কাছে জানতে চাওয়া হবে তিনি রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষার শেষ সুযোগ নিতে আগ্রহী কি না।
জামায়াত আমির নিজামী তা না চাইলে বা রাষ্ট্রপতির ক্ষমা না পেলে সরকার আদালতের রায় কার্যকর করবে।
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বৃহস্পতিবারই বলেছেন, পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ হতে সময় বেশি লাগার ‘কথা নয়’। আর প্রাণভিক্ষার সিদ্ধান্ত জানাতে আসামিকে ‘যৌক্তিক সময়ই’ দেওয়া হবে।
আওয়ামী লীগ নেতা আহসান উল্লাহ মাস্টারের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে শুক্রবার জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানের পর সাংবাদিকরা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কামালের কাছে দণ্ড কার্যকরের সম্ভাব্য সময় জানতে চান।
জবাবে তিনি বলেন, “যেভাবে আইন পারমিট করে, সেভাবেই আমরা করব।”
নিজামীর রায়ের প্রতিবাদে রোববার তার দল জামায়াতের ডাকা হরতাল নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, “হরতালে কঠোর অবস্থানে থাকবে আইন-শৃঙ্খলাবাহিনী। হরতালের নামে বিশৃঙ্খলাকারীদের কঠোর হাতে দমন করা হবে।”