নয় কার্যদিবসের এ অধিবেশন শুরু হয় গত ২৪ এপ্রিল। সাংবিধানিক ‘নিয়ম রক্ষার’ এ অধিবেশনের পুরোটাই ঢিলেঢালাভাবে চললেও শেষ দিন উত্তেজনা ছড়ায় বিরোধী দল জাতীয় পার্টিসহ সরকারি দলের কয়েকজন সংসদ সদস্যের বক্তব্যে।
বৃহস্পতিবার রাতে অধিবেশন সমাপ্তি সম্পর্কে রাষ্ট্রপতির আদেশ পাঠ করার মধ্য দিয়ে অধিবেশনের ইতি টানেন স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী।
এর আগে বৈঠকের শুরুতেই বিচারক অপসারণের ক্ষমতা আইনসভার হাতে আনাকে ‘অবৈধ’ বলে হাই কোর্টের দেওয়া রায়ে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানান সংসদ সদস্যরা।
এই প্রতিক্রিয়ার মধ্যেই বিচারপতিদের বেতন-ভাতা বাড়ানো সংক্রান্ত একটি বিল উত্থাপনের বিরোধিতা করে সংসদ থেকে ওয়াকআউট করে জাতীয় পার্টি।
এ অধিবেশনে মোট ১৪টি বিল পাস হয়। এর মধ্যে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, স্পিকার, মন্ত্রী ও সংসদ সদস্যদের বেতন-ভাতা প্রায় দ্বিগুণ করার কয়েকটি বিল ছিল।
কার্যপ্রণালী বিধির ৭১ বিধিতে ২৩৫টি নোটিস পাওয়া যায়, যার মধ্যে ১২টি গৃহীত হয় এবং সেগুলোর মধ্যে একটি সংসদে আলোচিত হয়।
৭১ক বিধিতে আলোচিত নোটিসের সংখ্যা ছিল ৬১টি।
অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রীর উত্তর দেওয়ার জন্য ১২৫টি প্রশ্ন ছিল, যার মধ্যে ৪৪টির উত্তর দেন সংসদনেতা শেখ হাসিনা।
বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীদের উত্তর দেওয়ার জন্য এক হাজার ৮৫২টি প্রশ্ন পাওয়া যায়, যার মধ্যে মন্ত্রীরা জবাব দেন এক হাজার ২৯২টির।