সেই সঙ্গে রাজশাহী-৪ আসনের সাংসদ এনামুল হককে আচরণবিধি লঙ্ঘনের বিষয়ে কারণ দর্শানো নোটিশ দেওয়া হচ্ছে।
এছাড়া শেরপুর জেলার শেরপুর সদর থানার ওসিকে প্রত্যাহারের বিষয়ে পুলিশ মহাপরিদর্শককে নির্দেশ দিয়েছে সাংবিধানিক সংস্থাটি।
বৃহস্পতিবার ইসি সচিব মো. সিরাজুল ইসলাম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “রাজশাহী-৪ আসনের সাংসদ এলাকায় অবস্থান করছেন; আচরণবিধি লঙ্ঘন করছেন। তাকে কর্মকর্তারা এলাকা ছাড়তে বলেছেন, তবুও শুনছেন না।
“এখন ওই বাগমারা উপজেলার ১৬টি ইউপি স্থগিত করে দিয়েছি। সেই সঙ্গে বিধিলঙ্ঘনের বিষয়ে কারণ দর্শাতেও ক্ষমতাসীন দলের সাংসদকে চিঠি দেওয়া হবে।”
ভোটগ্রহণ সুষ্ঠুভাবে করার বিষয়ে ইসির সর্বশেষ এসব উদ্যোগের কথা তুলে ধরে সচিব বলেন, “আমাদের পক্ষে যা যা ব্যবস্থা নেওয়ার সব করছি। তবে এ নির্বাচন শুধু একার পক্ষে সুষ্ঠুভাবে করা সম্ভব নয়।
“রাজনৈতিক দলসহ সবার সহযোগিতা দরকার। আমাদের চেষ্টার কোনো ত্রুটি নেই।”
স্থগিত ইউপিগুলো বাদ দিয়ে শনিবার চতুর্থ ধাপে দেশের ৭০৯টি ইউপি’র ভোট হবে। তবে আদালতের আদেশে ভোটের স্থগিতাদেশ এলে এ সংখ্যা কমবেশি হতে পারে।
ব্যাপক অনিয়ম ও সহিংসতার মধ্যে এবার প্রথমবারের মতো দলভিত্তিক ইউপি ভোট হচ্ছে।
গত ১১ ফেব্রুয়ারি তফসিল ঘোষণার পর থেকে এ পর্যন্ত অন্তত ৭০ জনের প্রাণহানি ঘটেছে। এ নির্বাচনকে শুধু প্রশ্নবিদ্ধ নয়, গুলিবিদ্ধ নির্বাচন বলেও পর্যবেক্ষক মহল মন্তব্য করেছে।
তিন ধাপের ভোটের পর আগামীতে আরও সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের প্রত্যাশা রেখেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী রকিবউদ্দীন আহমদ।
ইসি সচিব সিরাজুল ইসলাম বলেন, “আশা করি, সুষ্ঠু ভোট হবে। সবাইকে নির্বিঘ্নে ভোট দেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। আইন শৃঙ্খলাবাহিনী ও ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের অনিয়মের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।”
শেরপুর সদর উপজেলার ওসিকে প্রত্যাহার করে উপযুক্ত কর্মকর্তা পদায়নের জন্যও চিঠি দেওয়া হয়েছে বলে জানান সচিব।
রাজনৈতিক দলগুলোকে সহিষ্ণু মনোভাব নিয়ে ভোটের আয়োজনকে সফল করার আহ্বান জানান তিনি।
এ পর্যন্ত ভোটে অনিয়ম ও প্রভাবের অভিযোগে অন্তত ১০ জন ওসি ও একজন পুলিশ সুপারকে প্রত্যাহার, দুই প্রিজাইডিং কর্মকর্তাকে সাময়িক বরখাস্ত এবং এক এসপি ও পাঁচ ওসিকে তলব করা হয়েছে।
একজন সাংসদের বিরুদ্ধে মামলা, এক উপজেলা চেয়ারম্যানকে বরখাস্ত, একজন উপজেলার চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে মামলা করেছে ইসি।
চতুর্থ ধাপের ভোট তথ্য
এ ধাপের ৪৭ জেলার ৮৮ উপজেলার ৭০৯ ইউপিতে ভোট হচ্ছে।
ভোট কেন্দ্র ছয় হাজার ৯৬৫, ভোট কক্ষ ৩৭ হাজার ৫৪টি।
ভোটার এক কোটি ১০ লাখের বেশি এবং দেড় লাখের মতো আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য নিয়োজিত থাকবে।
প্রার্থী ও দল
এ ধাপে প্রার্থী রয়েছে তিন হাজার ২৪৫ জন।
১৬টি দলের এক হাজার ৭২৩ জন ও স্বতন্ত্র এক হাজার ৫২২ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রয়েছেন।