দ্বিগুণ হল এমপিদের বেতন-ভাতাও

রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, স্পিকার-ডেপুটি স্পিকার এবং মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী ও উপমন্ত্রীদের পর সংসদ সদস্যদের বেতন-ভাতা দ্বিগুণ করার বিলও পাস হয়েছে জাতীয় সংসদে।

সংসদ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 5 May 2016, 03:56 PM
Updated : 5 May 2016, 03:56 PM

বৃহস্পতিবার সংসদে মেম্বারস অফ পার্লামেন্ট (রেমুনেরেশন অ্যান্ড অ্যালাউয়েন্সেস) (অ্যামেন্ডমেন্ট) বিল-২০১৬ পাসের প্রস্তাব করেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। পরে কণ্ঠভোটে তা পাস হয়।

এতে এমপিদের বেতন ২৭ হাজার ৫০০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৫৫ হাজার টাকা করা হয়ছে। বাড়ানো হয়েছে তাদের অন্যান্য ভাতাও।

বুধবার রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর বেতন-ভাতা বাড়ানো সংক্রান্ত পৃথক দুটি বিল পাস হয়; যাতে তাদের বেতন-ভাতা প্রায় দ্বিগুণ করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার এর আগে সংসদের স্পিকার ও ডেপুটি স্পিকারের বেতন-ভাতা দ্বিগুণ এবং মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী ও উপমন্ত্রীদের বেতন-ভাতা প্রায় দ্বিগুণ করার বিল পাস হয়।

সংসদ সদস্যদের বেতন-ভাতা বৃদ্ধি সংক্রান্ত বিলটি গত ২৪ জানুয়ারি সংসদ অধিবেশনে উত্থাপন করেন আইনমন্ত্রী। পরে তা পরীক্ষা করে সংসদে প্রতিবেদন দিতে সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়।

২৭ জানুয়ারি কমিটির বৈঠকে বিলের বিষয়ে আপত্তি জানান সদস্যরা। তারা বলেন, সচিবরা ৮২ হাজার টাকা বেতন পেলেও সংশোধিত আইনে সংসদ সদস্যদের জন্য ৫৫ হাজার টাকা ‘সম্মানি ভাতা’ রাখা হয়েছে।

এরপর ১৮ এপ্রিল অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত ও ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বী মিয়াকে নিয়ে বৈঠক করে সংসদীয় কমিটি।

বৈঠকে প্রস্তাবিত সব ভাতা ঠিক রেখে শুধু এমপিদের নির্বাচনী এলাকার অফিস খরচ ৯ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে ১৫ হাজার টাকা নির্ধারণের সুপারিশ করা হয়। 

২৪ জানুয়ারি সংসদে উত্থাপিত বিলে নির্বাচনী এলাকার অফিস খরচ বাড়ানোর প্রস্তাব ছিল না। সংসদীয় কমিটি খরচ বাড়ানোর সুপারিশ করে সংসদে প্রতিবেদন দেয়। সে হিসাবে এখন থেকে একজন এমপি নির্বাচনী এলাকার  অফিস খরচ ১৫ হাজার টাকা করে পাবেন।

পাস হওয়া বিল সম্পর্কে আইনমন্ত্রী বলেছেন, জীবনযাত্রার ব্যয় বৃদ্ধি, মূল্যস্ফীতি ও দেশের আর্থ-সামজিক অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে এবং অষ্টম জাতীয় বেতন স্কেল ঘোষণা করার কারণে সংসদ সদস্যদের জন্য সময়োপযোগী বেতন-ভাতাদি নির্ধারণ করা আবশ্যক।

বিলের উপর সংশোধনী প্রস্তাব আনার সময় বিরোধী দল জাতীয় পার্টির সদস্যরা বেতন-ভাতা আরও বাড়ানোর দাবি করলে আইনমন্ত্রী বলেন, “আমরা নিজেরাই নিজেদেরটা বাড়াচ্ছি। বিবেচকের মত বাড়াতে হবে। আমাদের সামর্থ্য থাকলে বাড়াতাম।”

বিলে সংসদ সদস্যদের বেতন ২৭ হাজার ৫০০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৫৫ হাজার টাকা, ব্যয় নিয়ামক ভাতা তিন হাজার থেকে বাড়িয়ে পাঁচ হাজার টাকা, দৈনিক ভাতা ৩০০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৭৫০ টাকা, স্বেচ্ছাধীন তহবিল তিন লাখ থেকে বাড়িয়ে পাঁচ লাখ টাকা, নির্বাচনী এলাকার মাসিক খরচ সাড়ে ৭ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে ১২ হাজার ৫০০ টাকা, পরিবহন খরচের মাসিক ভাতা ৪০ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে ৭০ হাজার টাকা, বার্ষিক ভ্রমণ খরচ ৭৫ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে ১ লাখ ২০ হাজার টাকা, মাসিক লন্ড্রি ভাতা ১ হাজার থেকে বাড়িয়ে দেড় হাজার টাকা এবং মাসিক ক্রোকারিজ ভাতা ৪ হাজার থেকে বাড়িয়ে ৬ হাজার টাকা করা হয়েছে।