বৃহস্পতিবার ঢাকার মহানগর আদালতে তারা জবানবন্দি দিয়ে এক আইনজীবীর জিম্মায় বাড়ি ফিরে যান বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট আদালত পুলিশের সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা এসআই পার্থ চট্টপাধ্যায়।
তড়িৎ কৌশল বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মাহফুজুর রশিদ ফেরদৌস আহসানউল্লাহ বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টরের দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন।
কলাবাগান থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে করা একটি মামলায় বুধবার ভোরে রমনা এলাকার একটি ফ্ল্যাট থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
এর আগে ছাত্রীদের যৌন নিপীড়নের অভিযোগ উঠার পর শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে গত শনিবার তাকে সাময়িক বরখাস্ত করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
বুধবার গ্রেপ্তারের পর তাকে আদালতে হাজির করে সাত দিন রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করে পুলিশ; শুনানি শেষে আদালত দুই দিন মঞ্জুর করে।
আদালত পুলিশের কর্মকর্তা পার্থ চট্টপাধ্যায় বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, বৃহস্পতিবার মহানগর হাকিম নুরুন্নাহার ইয়াসমিনের খাস কামরায় দুই ছাত্রী জবানবন্দি দেন। বাকি তিনজন মহানগর হাকিম সাদবীর ইয়াসির আহসান চৌধুরী, মহানগর হাকিম গোলাম নবী ও মহানগর হাকিম মারুফ হোসেনের খাস কামরায় জবানবন্দি নেন।
পরে শুনানিতে মহিলা আইনজীবী সমিতির পক্ষ থেকে ফাহমিদা আক্তার রিংকী তাদেরকে তার জিম্মায় ছেড়ে দেওয়ার আবেদন করেন।
শুনানি শেষে মহানগর হাকিম মাহমুদুল হাসান প্রত্যেক ছাত্রীর জন্য পাঁচ হাজার টাকা মুচলেকার বিনিময়ে তাদেরকে ওই আইনজীবীর জিম্মায় বাড়ি ফেরার সুযোগ দেন বলে জানান আদালত পুলিশের সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা পার্থ।