বুধবার সংসদে প্রশ্নোত্তর পর্বে তিনি জানান, সরকার পাইপ লাইনের বদলে সিলিন্ডারের মাধ্যমে গ্যাস সরবরাহের পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে।
জাতীয় পার্টির সাংসদ সেলিম উদ্দিন এ বিষয়ে জানতে চেয়েছিলেন।
সরকারি দলের সাংসদ সুবিদ আলী ভুঁইয়ার প্রশ্নের জবাবে নসরুল হামিদ বলেন, “বর্তমানে দৈনিক গ্যাসের চাহিদা ৩ হাজার ২০০ মিলিয়ন ঘনফুট। গত সাত বছরে গ্যাসের উৎপাদন প্রায় দ্বিগুণ বাড়লেও চাহিদা তার চেয়ে বেশি বেড়েছে। যে কারণে বর্তমানে দৈনিক ঘাটতির পরিমাণ ৫০০ মিলিয়ন ঘনফুট।
“২০২১ সালের মধ্যে ৫৭টি অনুসন্ধান কূপ খনন, ৪৩টি উন্নয়ন কূপ খনন এবং ২০টি কূপের ওয়ার্কওভার করার পরিকল্পনা আছে। এসব কূপ হতে আনুমানিক ১ হাজার ৭৮ থেকে ১ হাজার ২৪০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস পাওয়া যাবে বলে আশা করা যায়।”
প্রতিমন্ত্রী জানান, ২০১৭ সাল নাগাদ ৫০০ এমএমসিএফডি গ্যাসের সমতুল্য এলএনজি আমদানি করা হবে। এ ছাড়া মহেশখালী ও পায়রায় ২০২২ সাল নাগাদ ২ হাজার এমএমসিএফডি ক্ষমতাসম্পন্ন দুটি স্থলভিত্তিক এলএনজি টার্মিনাল স্থাপনের কাজ হাতে নেওয়া হয়েছে।
ঢাকার বাইরে যাবে শিল্পকারখানা
এ কে এম রহমতুল্লাহর প্রশ্নের জবাবে শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু বলেন, “মালিকদের বিশেষ সুবিধা দেওয়ার মাধ্যমে শিল্পকারখানা ঢাকা মহানগর থেকে স্থানান্তরের পরিকল্পনা সরকারের আছে।
“ইতিমধ্যে চামড়া শিল্পের কারখানা হাজারীবাগ থেকে সাভারে স্থানান্তর করা হয়েছে। ওষুধ শিল্পের কাঁচামাল উৎপাদনের জন্য মুন্সিগঞ্জের গজারিয়ায় ২০০ একর জমিতে শিল্পপার্ক নির্মাণের কাজ চলছে। ক্ষুদ্র কুটির শিল্প কারখানার জন্য মুন্সিগঞ্জের সিরাজদীখানে প্রকল্প বাস্তবায়নাধীন আছে।”
এছাড়া ঢাকার ঘণবসতিপূর্ণ এলাকা থেকে কেমিক্যালের গুদাম ও কারখানা কেরানীগঞ্জের সোনাকান্দায় স্থানান্তরের বিষয়টি বাস্তবায়নাধীন রয়েছে বলেও জানান তিনি।
সর্বাধিক সার্কুলেশন বাংলাদেশ প্রতিদিনের
জাতীয় পার্টির নুরুল ইসলাম ওমরের প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বলেন, “বর্তমানে দেশে প্রকাশিত দৈনিক পত্রিকার সংখ্যা ৪৩০টি। সর্বাধিক প্রচারিত পত্রিকার নাম ‘দৈনিক বাংলাদেশ প্রতিদিন’।
“সাপ্তাহিক পত্রিকার সংখ্যা ৯৩টি। সর্বাধিক প্রচারিত সাপ্তাহিক চিত্রবাংলা। পাক্ষিক পত্রিকা ২০টি। সর্বাধিক প্রচারিত পাক্ষিক বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস। প্রকাশিত মাসিক পত্রিকার সংখ্যা ২৩টি। সর্বাধিক প্রচারিত মাসিক মদিনা।”