ঢাকার ৪ নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক আব্দুর রহমান সরদার বুধবার এ রায় ঘোষণা করেন।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- জয়দেবপুরের বালু চাকুলী গ্রামের মো. সাখাওয়াৎ হোসেন হিমেল, মো. হারুন অর রশীদ রনি, মো. আউয়াল, মো. আল আমিন ও মো. দেলোয়ার হোসেন।
রায় ঘোষণার সময় দণ্ডিত সবাই আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
ট্রাইব্যুনালের পেশকার আবুল কালাম আজাদ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, রায়ে দণ্ডিত প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা করেছেন বিচারক।
২০১১ সালের ৩০ অগাস্টে ওই হত্যাকাণ্ডে নিহত প্রকৌশলী আবদুল্লাহ আল মোসাবির ভুট্টোর বাড়ি চান্দনার ধীরাশ্রম রোডে।
ভুট্টোর সঙ্গে দণ্ডিত দেলোয়ার হোসেনের নবম শ্রেণিতে পড়ুয়া মেয়ের প্রেমের সম্পর্ক মেনে নিতে না পারায় আসামিরা পরস্পর যোগসাজসে তাকে হত্যা করে বলে আদালতে রায়ে উঠে এসেছে।
রায়ের নথি থেকে জানা যায়, দেলোয়ার তার মেয়ের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক মেনে নিতে না পেরে ভুট্টোকে ঘটনার দিন তাদের বাড়ি থেকে ডেকে নেয়। এরপর অন্য আসামিদের সঙ্গে নিয়ে মারধরের পর শ্বাসরোধে হত্যা করে তার লাশ পানিতে ফেলে দেয়।
পরদিন সকালে ভুট্টোর লাশ তাদের বাড়ি থেকে অল্প দূরে স্থানীয় হাকিম পাটোয়ারির জমিতে বর্ষার পানিতে ভেসে থাকতে দেখা যায়।
এ ঘটনায় নিহতের বড় বোন মোসাম্মৎ তাহমিনা আক্তার বাদী হয়ে জয়দেবপুর থানায় হত্যা মামলা করেন।
মামলায় ২০১৩ সালের ২৪ অগাস্ট আসামিদের বিরুদ্ধে গাজীপুরের মুখ্য বিচারিক হাকিম আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয় পুলিশ।
রাষ্ট্রপক্ষে ২৪ জনের সাক্ষ্য নিয়ে রায় ঘোষণা করেন বিচারক।