বুধবার বিকালে সংসদের কার্যক্রমের শুরুতেই সফরসঙ্গীদের নিয়ে অধিবেশন কক্ষে ঢোকেন কুয়েতের প্রধানমন্ত্রী।
এসময় অধিবেশনে সভাপতিত্বকারী স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী কুয়েতের প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতির বিষয়টি সংসদকে জানান।
সংসদ সদস্যরা কুয়েতের প্রধানমন্ত্রীকে টেবিল চাপড়ে স্বাগত জানান। কুয়েতের প্রধানমন্ত্রীও এসময় হাত উঁচিয়ে শুভেচ্ছা জানান বাংলাদেশের আইন প্রণেতাদের।
কুয়েতের প্রধানমন্ত্রী সংসদে থাকার সময় বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রশ্নোত্তর-পর্ব চলছিল। বিরোধীদলীয় নেতা রওশন এরশাদও এসময় অধিবেশনে ছিলেন।
শেখ হাসিনা এক প্রশ্নের উত্তরে পায়রা গভীর সমুদ্র বন্দরকে কেন্দ্র করে দক্ষিণাঞ্চলে অথনৈতিক অঞ্চল গড়ে তোলার পরিকল্পনার কথা তুলে ধরতে গিয়ে কুয়েতের প্রধানমন্ত্রীর কথা বলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, “এখানে কুয়েতের প্রধানমন্ত্রী উপস্থিত আছেন। তাদের সাথে আমরা কতগুলো চুক্তি সই করেছি।
“পায়রা সেতু নির্মাণে কুয়েত আর্থিক সহায়তা দেবে। লেবুখালী সেতুও কুয়েতের অর্থায়নে নির্মিত হচ্ছে। এজন্য কুয়েত সরকারকে ধন্যবাদ জানাই।”
কুয়েতের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন দেশটির প্রথম উপ-প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী শেখ সাবাহ খালেদ আল-হামাদ আল-সাবাহ, অর্থ ও তেলমন্ত্রী আনাস খালেদ আল-সাবাহ, শিক্ষামন্ত্রী বদর হামাদ আল-ইসা প্রমুখ।
দক্ষিণ ও দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার পাঁচটি দেশ সফরের অংশ হিসেবে মঙ্গলবার বাংলাদেশে আসেন কুয়েতের প্রধানমন্ত্রী।
বুধবার সংসদে যাওয়ার আগে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে যোগ দেন শেখ জাবের আল-মুবারক আল-হামাদ আল-সাবাহ।ওই বৈঠকে বাংলাদেশের সঙ্গে কুয়েতের চারটি চুক্তি সই হয়।