ছয় সদস্যের এই দলটি মঙ্গলবার ঢাকা পৌঁছার পর বুধবার সকাল থেকে কাজ শুরু করেছে বলে জানিয়েছেন সিআইডির অতিরিক্ত ডিআইজি শাহ আলম।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, “ব্রাড মারডেনের নেতৃত্বে ছয় সদস্যের এই দলটি ৬ মে পর্যন্ত সিআইডির সঙ্গে কাজ করবে। তারা আইটি ফরেনসিক বিশেষজ্ঞ।”
গত ফেব্রুয়ারির শুরুতে সুইফট সিস্টেম ব্যবহার করে ৩৫টি ভুয়া বার্তা পাঠিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক অব নিউ ইয়র্ক থেকে প্রায় এক বিলিয়ন ডলার সরানোর চেষ্টা হয়।
এর মধ্যে চারটি মেসেজের মাধ্যমে ফিলিপিন্সের একটি ব্যাংকে সরিয়ে নেওয়া হয় ৮ কোটি ১০ লাখ ডলার। আর একটি মেসেজের মাধ্যমে শ্রীলঙ্কার একটি ‘ভুয়া’ এনজিওর নামে ২০ মিলিয়ন ডলার সরিয়ে নেওয়া হলেও বানান ভুলের কারণে সন্দেহ হওয়ায় শেষ মুহূর্তে তা আটকে যায়।
রিজার্ভ থেকে অর্থ চুরির ঘটনায় মতিঝিল থানায় গত ১৫ মার্চ দায়ের করা মামলার পর সিআইডি তদন্তের দায়িত্ব নেয়। তদন্ত দায়িত্ব নেওয়ার পর বাংলাদেশ ব্যাংকের কম্পিউটার, সার্ভারে থাকা বেশ কিছু তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ করা হয়েছে।
শাহ আলম বলেন, “আমরা এসব নিয়ে কাজ করার সময় মনে হলো ইন্টারপোলের সহায়তা পেলে ভালো হবে। এরপর তাদের সহায়তা চাই। তারা আমাদের আহ্বানে সাড়া দিয়ে এসেছেন।”
“তারা মূলত কম্পিউটার ফরেনসিক এনালিস্ট হিসেবে কাজ করবেন। আমরা তাদের কাছ থেকে এসব বিষয়ে কারিগরি সহায়তা নেব।”
তারা সিঙ্গাপুরের আঞ্চলিক অফিসসহ বিভিন্ন স্থান থেকে এসেছেন বলেও জানান।
অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ইতিবাচক দিক থেকেই তদন্ত এগোচ্ছে। নানা দিক দিয়ে এই ঘটনার তথ্য-উপাত্ত পাওয়া যাচ্ছে।
“ফিলিপিন্স ও শ্রীলংকায় বাংলাদেশ পুলিশের যারা গিয়েছিলেন তারা তদন্ত সহায়ক অনেক তথ্য সংগ্রহ করেছেন। তাদের সেসব তথ্য তদন্ত কাজে সহায়ক হিসাবে কাজ করছে।”
এদিকে বাংলাদেশ ব্যাংকে ফিলিপিন্সের পরামর্শক নিয়োগের বিষয় গোপন করায় তা নিয়ে বিস্ময় প্রকাশ করেছে সিআইডি।
সিআইডির একজন কর্মকর্তা জানান, বাংলাদেশ ব্যাংকে আইটি পরামর্শক হিসাবে ২০০৯ এবং ২০১১ সালে ফিলিপিন্সের পৃথক দুটি টিম কাজ করেছে।
“এই তথ্য আমাদের কাছে প্রথম থেকেই আছে। কিন্তু তদন্ত করতে গিয়ে ২-৩দিন আগে জানা গেল ২০১৫ এবং ২০১৬তেও ফিলিপিন্সের আইটি পরামর্শক টিম কাজ করেছে। বাংলাদেশ ব্যাংক এই তথ্যটি আমাদের জানায়নি।”
গত জানুয়ারিতেও ফিলিপিন্সের পরামর্শকদের সঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংকের যোগাযোগ হয়েছে জানিয়ে শাহ আলম বলেন, “সিআইডিকে না জানানোর বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে নেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে জানতে চাওয়া হবে।”